পুবের কলম প্রতিবেদক: রাজ্যপালের সঙ্গে সরকারের সংঘাত নতুন মোড় নিল বৃহস্পতিবার। এদিন রাজ্য মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে,রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাজ্যপাল নয়, হবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন ঘোষণার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
এদিন অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে হলে প্রয়োজন আইনের সংশোধন। শীঘ্রই রাজ্য বিধানসভায় এই প্রসঙ্গে বিল আনা হবে।
কয়েকদিন আগেই এই বিষয় নিয়ে একটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন শিক্ষা মন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে সে সময় শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যপাল ট্যুইটার, ফেসবুক নিয়েই মেতে আছেন। এরকম একজন আচার্য থাকলে সে রাজ্যের শিক্ষার অবস্থা ভয়াবহ হওয়ারই কথা। আমাদের ভাগ্য ভালো তা সত্ত্বেও শিক্ষার কাজ আমরা দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছি। রাজ্যপাল শিক্ষাদফতরের সঙ্গে কোনও সহযোগিতা করেন না। সারাক্ষণ বেআইনি কাজ করেন। শিক্ষা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ ফাইল দিনের পর দিন আটকে রাখার অভিযোগও রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তুলেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
প্রসঙ্গত জানা যাচ্ছে, ২০১০ সালে এই সুপারিশ করেছিল পুঞ্ছি কমিশন। রাজনাথ সিং ছিলেন সেই কমিশনে। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু ও কেরল এই বিধি গ্রহণ করেছে। ২০০৭ সালে মদনমোহন পুঞ্ছির নেতৃত্বে কমিটি গঠিত হয়। ২০১০ সালে কমিটি রিপোর্ট দেয়। কেন্দ্র রাজ্য সম্পর্ক, শিক্ষাক্ষেত্রে রাজ্যপালের ভূমিকা সহ একাধিক বিষয়ে সুপারিশ করে কমিটি। একগুচ্ছ সুপারিশের মধ্যে ছিল এই সুপারিশটিও।
ফলে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে পশ্চিমবঙ্গ হবে তৃতীয় রাজ্য যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা আচার্য হিসাবে ভূমিকা পালন করবেন। এতদূর এসে এখানে যে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি আলোচনার তা হল মন্ত্রিসভায় তো এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হল। এবার রাজ্য বিধানসভায় এই সংক্রান্ত বিল আনা হবে। তবে এখানেও একটা সমস্যা রয়েছে বিলটি রাজ্য বিধানসভায় পাস হওয়ার পর তা পাঠানো হবে রাজ্যপালের কাছেই। এ ক্ষেত্রে রাজ্যপাল যদি এই বিলে অনুমোদন না দেন সেক্ষেত্রে অর্ডিন্যাস নিয়ে আসা হবে। সেক্ষেত্রে ছ’মাসের মধ্যে বিধানসভা মঞ্জুরি দিলে তা আইনে রূপ পেতে কোনও বাধা থাকবে না।