পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্বব্যাপী ইসলাম ধর্মালম্বীরা রোযার মাসকে সংযম পালন ও আত্মশুদ্ধির মাস হিসেবে বিবেচনা করে থাকেন। ভোরবেলায় সূর্য ওঠার আগে ‘সেহরি’ খেয়ে উপবাস শুরু করতে হয়। সারাদিন নির্জলা উপবাস রেখে সন্ধ্যায় আযানের পর ইফতারের মাধ্যমে রোযা ভঙ্গ করে থাকেন তারা।
পবিত্র এই রমযান মাসে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে সেহরি ও ইফতারের খাবার পৌঁছে দিয়ে চলেছেন প্রাক্তন হকি আম্পায়ার নোমান আক্রম। আক্রমের রায়পুর ভিত্তিক এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এই কাজ করে চলেছে নিঃস্বার্থভাবে।
আক্রম জানিয়েছেন, সম্পূর্ণ মানবিক কারণেই রোযাদারদের কাছে সেহরি ও ইফতারের খাবারের পৌঁছে দিয়ে চলেছেন তারা। আক্রম তার দলের যুবকদের সঙ্গে নিয়ে হাসপাতাল, বাস, স্টেশনে ছুটে যাচ্ছেন। তাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন খাবার। ইতিমধ্যেই রায়পুরের এইমস, ডা. ভীমরাও আম্বেদকর হাসপাতালে ছোট ছোট ব্যাগের মধ্যে করে খাবার নিয়ে তারা রোযাদার মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন। বাসে, ট্রেনে, হাসপাতালে দেখতে আসা রোগীর আত্মীয় পরিজন তাদের সকলের কাছে খাবার বিতরণ করছেন তারা। কারণ হাসপাতালের ক্যান্টিনগুলিতেও অনেক সময় পর্যাপ্ত খাবার পাওয়া যায় না।
আক্রম জানান, আমাদের এই কাজ স্বতঃস্ফূর্তভাবে গ্রহণ করেছেন সকলেই। এই ছোট ছোট সমর্থনগুলি আমাদের মনোবল বাড়াতে আরও সাহায্য করেছে।
আক্রম আরও জানান, সেহরির সময় মধ্যরাতের পরে খাবার খুঁজে পাওয়া সত্যিই কঠিন। হাসপাতালে আসা রোগী পরিজনদের মধ্যে রোজাদারদের কাছে এটি একটি বড় সমস্যা। তাই আমরা ভোর ৩টের মধ্যে খাবার প্রস্তুত করে বিতরণ করি। সেহরির মেনুতে সাধারণত রুটি, ডিমের তরকারি বা ভুর্জি, বিরিয়ানি এবং ফল থাকে। একইভাবে, ইফতারের খাবারের মধ্যে রয়েছে খেজুর, ফল, সামোসা, বেকড আইটেম, জুস। রমযান মাসটি অন্যদের প্রতি সহানুভূতি ভাগ করে নেওয়া, অভাবীদের যত্ন নেওয়ার মাস। তাই এই সময় রোযাদারদের পাশে থাকতে পেরে ভালো লাগছে। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাদের এই মহৎ কাজে শামিল হওয়ার জন্য সকলকে আহ্বান জানিয়েছে প্রাক্তন হকি আম্পায়ার নোমান আক্রম।