পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলেই বিজেপির অন্তঃসার শূন্যতা প্রকাশ পেয়েছিল। এবার খোদ কাঁথিতেই তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল অধিকারী গড়।
প্রায় চারদশক পড়ে কাঁথি পুরসভার নিয়ন্ত্রণ হারালেন অধিকারী পরিবার। কাঁথি পুরসভায় এবার বোর্ড গঠন করতে চলেছে তৃণমূল। সম্ভাব্য চেয়ারম্যান সুপ্রকাশ গিরি। রাজ্যের মৎসমন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ।
কাঁথি পুরসভার মোট আসন ২১টি। তৃণমূল পেয়েছে মোট ১৭টি আসন। বিজেপি তিনটি, নির্দল একটি।
খোদ শুভেন্দু অধিকারীর ওয়ার্ডেও হার বিজেপির। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রিনা দাসের কাছে হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী সুমিতা সিং। উল্লেখ্য অধিকারী পরিবারের বাসভবন শান্তিকুঞ্জ এই ওয়ার্ডেই।
নিজের রাজনীতির আঁতুড়ঘর কাঁথি। সেখানেই যে এইদিন দেখতে হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি শিশিরপুত্র শুভেন্দু অধিকারী।
এযেন আমছালা সব হারিয়ে হাতে রইল পেন্সিলের মত অবস্থা। শুভেন্দুর এত আস্ফালন, এত হুঙ্কার সব যেন একমুহুর্তে চুপসে গেল।খোদ কাঁথিতে পদ্ম ফোটাতে ব্যর্থ তিনি।
এবার কি বলবেন তিনি। একদা ঘাসফুল শিবিরের এই প্রভাবশালী নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অনেক আশা নিয়েই ঘটাপটা করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু জনতা জনার্দন যে এইভাবে ছুঁড়ে ফেলে দেবে তা বোধহয় দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি। বিজেপিতেই এবার অনেক বড় চ্যালেঞ্জের মুখে অধিকারী পরিবারের জ্যেষ্ঠপুত্র।
শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী ছিলেন কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান। দলবদলের হাওয়ায় দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে তিনি যোগদেন বিজেপিতে। এবার তো হাতছাড়াই হল এই পুরসভা।
১৯৬০ সাল থেকে এই কাঁথি পুরসভা অধিকারী পরিবারের দখলে ছিল। তারপর থেকেই এই কাঁথি পুরসভা কোনদিন ফেরায়নি অধিকারী পরিবারকে। আজ কিন্তু সেই মিথ ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গেল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এই কাঁথি পুরসভার ফল আক্ষরিক অর্থেই শুভেন্দুর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েও তুলে দিল প্রশ্ন