রুবায়েত মোস্তাফা, কোচবিহার: ডাক্তার মুহাম্মদ ফজলে হক। বয়স ৯০ বছর। এখনও প্রতিদিন রোগী দেখেন। এআইসিসির মেম্বার ছিলেন দীর্ঘদিন। ১৯৬৭ সাল থেকে ’৭২ সাল পর্যন্ত সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের মন্ত্রিসভার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। দিনহাটা মহকুমার সিতাই বিধানসভার কেন্দ্র থেকে বহুবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন।
বনেদি জমিদার পরিবারের সন্তান। মেডিক্যাল কলেজের মেধাবী প্রাক্তন ছাত্র। সফলতার সঙ্গে এমবিবিএস করেছেন। সারা জীবন রোগীদের সেবা করেছেন। এখনও রোগী দেখেন। দেশ ও রাজ্যের অনেক রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন দেখেছেন। রাজনীতির ময়দানে পোড়খাওয়া উত্তরবঙ্গের রাজনীতিক বাম নেতা কমল গুহুর দিনহাটার বাম দুর্গে রাজনৈতিক লড়াই করেছেন। কিন্তু রাজনৈতিক জীবনে কোন দুর্নীতি বা কলঙ্কের দাগ তার সাদা পাঞ্জাবিতে এতটুকু ছুঁতে পারেনি।
কোনও থানায় কোথাও তাঁর বিরুদ্ধে একটাও মামলা ছিল না বা নেই। দিনহাটা শহরের চওড়াহাটে যেটা দিনহাটার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র সেই চওরাহাটের বাড়িতে বসে খবরের কাগজ পড়েন। টিভি দেখেন, রোগী দেখেন, একপ্রকার বলতে গেলে এখন সময় কাটছে এভাবেই রাজনীতি থেকে বহু দূরে সরে।
আক্ষেপ করে বলেন, কার সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনা করব। আর কী আলোচনা করব। দিনহাটায় দুই মন্ত্রী নিজেরা হাতাহাতি মারামারি করে। এ কেমন রাজনৈতিক পরিবেশ। বর্তমানে দেশে যে বিজেপির সরকার চলছে সেই সরকার ঠিকঠাক দেশ চালাচ্ছে না বলে যেমন হক সাহেব মনে করেন। ঠিক তেমনি হক সাহেব বর্তমান কংগ্রেসের ছন্নছাড়া দুর্বল সংগঠনের কথাও বলেন। তবে তিনি আশাবাদী কংগ্রেস আবার ঘুরে দাঁড়াবে বলে।
কোচবিহারে প্রথম দফায় উনিশে এপ্রিল এবার ভোট হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন থেকে বয়স্ক ভোটারদের জন্য ঘরে বসেই ভোটদানের ব্যবস্থা করেছে। হক সাহেবের বড় ছেলে আজিজুল হক জানান, ‘মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভোট গ্রহণ করার জন্য বাড়িতে এসেছিল নির্বাচন কমিশনের একটি দল। বাবা ভোটদান করেছেন ঘরে বসেই।’