পুবের কলম প্রতিবেদক: লোকসভা নির্বাচন প্রায় দরজায় কড়া নাড়ছে। ৩ মার্চ রাজ্যে আসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তার আগে ১ মার্চ রাজ্যে আসছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৭ই মার্চ ৫০ বাহিনী আসবে রাজ্যে। তবে এই বাহিনী কোন কোন জায়গায় মোতায়েন হবে তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বুধবারের বৈঠকে। কমিশন সূত্রে খবর, এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন আইজি সিআরপিএফ বি কে শর্মা, স্টেট ফোর্স কো অর্ডিনেটর রাজেশ শর্মা। বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে। এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গতিমুখ।
কমিশন সূত্রে খবর, বিগত কয়েকদিনের ঘটনা প্রণালীকে নজরে রেখে সন্দেশখালি, বসিরহাট, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় প্রথমে বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কমিশন। একইসঙ্গে ঠিক করা হবে রুট মার্চের গতিমুখও। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই কমিশনের তরফে একটি নির্দেশ পাঠিয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে বলা হয়েছিল রাজ্যে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারির সংখ্যা শূন্য করতে হবে। এদিকে, কমিশন সূত্রে খবর, বর্তমানে গোটা রাজ্যে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারির মামলার সংখ্যা ৫১ হাজার। ইতিমধ্যে মামলা মিটেছে প্রায় ৩০ হাজারের কাছাকাছি।
উল্লেখ্য, এরই পাশাপাশি বুধবার চারটে জেলাকে নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। বৈঠকে থাকবে উত্তর কলকাতা, দক্ষিণ কলকাতা , দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনার জেলা নির্বাচনী আধিকারিক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কমিশন সূত্রে খবর, বিশেষ করে উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রকাশ করেছে কমিশন। তাই ওই জেলার উপরে বিশেষ নজর দিতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই কারণেই নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগে রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও চিন্তায় রয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বুধবার সমস্ত এজেন্সির নোডাল অফিসারদের নিয়ে বৈঠক করবেন আরিজ আফতাব। নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ইনকাম ট্যাক্স থেকে শুরু করে মোট ২২টি বিভিন্ন এজেন্সিকে নিয়ে বৈঠক করবেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর।