উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রাম ।গ্রামের মহিলারা বাড়ি ফিরেছে। বৃহস্পতিবার দলুয়াখাকি গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সঙ্গে দেখা করতে যান বাম প্রতিনিধি দল।এই দলে ছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, প্রাক্তন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলী, শমিক লাহিড়ী, রতন বাগচী ও সায়ন ব্যানার্জি।
বৃহস্পতিবার পুনরায় গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করে সিপিএমের প্রতিনিধি দল। গ্রামে ঢোকার আগে পুলিশের বাধার সম্মুখীন হয় বাম নেতারা। এরপর পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে তারা। বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশের পক্ষ থেকে শর্ত সাপেক্ষে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ৫ জন সদস্যদের নিয়ে গ্রামে ঢোকে সুজন চক্রবর্তী ও কান্তি গাঙ্গুলীরা।
গ্রামে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন বাম নেতারা। কেমন অবস্থায় রয়েছে গ্রামের মহিলারা সে বিষয়ক খতিয়ে দেখেন বাম নেতারা। এলাকা পরিদর্শনের পর কার্যত সংবাদ মাধ্যমের সামনে ক্ষোপ উগরে দেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি জানান, পুলিশ আমাদেরকে গ্রামে ঢুকতে বাধা দিচ্ছে। মানুষের পাশে থাকতেও বাধা দিচ্ছে কেন আমাদের কাছে হাইকোর্টের অনুমতি রয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমরা এই গ্রামে এসেছি। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি আমরা। তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন ,এই এলাকায় ঢোকার জন্য তৃণমূল বিজেপি জন্য আলাদা নিয়ম আর অন্যান্য রাজনৈতিক দলের জন্য আলাদা নিয়ম এটা হতে পারে না। আমরা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়েই যাচ্ছি।
প্রসঙ্গত জয়নগরের তৃণমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জয়নগরের বামনগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের দলুয়াখাকি গ্রাম। গ্রামে একের পর এক বাড়িতে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ এর মতন ঘটনা ঘটে। প্রাণভয়ে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্ত্ব আশ্রয় নেয় গ্রামের মহিলারা। এরপর পুলিশি সহযোগিতায় ধীরে ধীরে গ্রামে ফিরছে গ্রামের মহিলারা ও গ্রামের বৃদ্ধরা। বৃহস্পতিবার ও এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা রয়েছে ওই এলাকায়।