পুবের কলম প্রতিবেদক: সন্দেশখালিতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা।সন্দেশখালির এই পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে এবার নন্দীগ্রামের স্মৃতি উসকে রাজনীতির দাঁও-পেঁচ খেলতে শুরু করেছে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি।
শনিবার দুপুরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল করে সোজা রাজভবন চলে যান বিজেপি বিধায়কেরা। তাঁদের দাবি, হস্তক্ষেপ করতে হবে রাজ্যপালকে। শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, ‘আমরা রাজ্যপালকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়ে গেলাম। কালকের মধ্যে যদি শান্তি ফিরিয়ে না আনা হয় তাহলে সোমবার ১৪৪ ভাঙব।’
শনিবার পৌর-সংস্থায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে শুভেন্দুর এই হুমকির পাল্টা জবাব দিয়ে কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল।’ শুধু তাই নয়, নন্দীগ্রামের স্মৃতি উসকে দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, ‘দূর, নন্দীগ্রামে কি করবে? নন্দীগ্রামে একটা মাস আন্দোলন হয়েছিল। এরা ক্যামেরাকে ধরার জন্য ওরকম বলে। অর্গানাইজেশন কোথায়? পায়ের তলায় মাটি কোথায়? লাফালাফি করলে হবে? এটা আমার কথা না নাড্ডা সাহেব, অমিত শাহ এসে বলে গেছে।’
একইসঙ্গে, শুভেন্দুর মানবাধিকার খর্ব করা প্রসঙ্গে মেয়র জানান, হাথরসে কি করেছিলে বাপু? বিভিন্ন জায়গায় কি করেছ? দিল্লিতে কি করেছ? দিল্লিতে স্টুডেন্টদের অ্যারেস্ট করলে কোথা দিয়ে? তুমি করলে ঠিক আর আমি করলে অন্যায়। যেখানে ল অ্যান্ড অর্ডার প্রবলেম হয়েছে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে। ১৪৪ ধারা কোনো পলিটিকাল ডিসিশন নয়। ল অ্যান্ড অর্ডার এতে স্টেট সাবজেক্ট নিশ্চয়ই কিন্তু পুলিশ তার লোকাল রিপোর্টের ওপরে ভিত্তি করে কাজ করে এবং তাদের যে অথরিটি আছে, কোথাও কমিশনার কোথাও এসপি তারা করে। যা মনে করেছে তা করেছে। এর মধ্যে হস্তক্ষেপের কি আছে? আমরাও তো ৩৪ বছর ধরে আন্দোলন করেছি। কত জায়গায় ১৪৪ ধারা করেছে। আমরা যেতে পারিনি। আবার ১৪৪ ধারা হয়ে গেছে। সেখানে গিয়ে মিটিং করেছি।’
পাশাপাশি, সিএএ লাগু করা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বক্তব্যকে কটাক্ষ করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, প্রত্যেক নির্বাচনের আগে শুনি, তারপর আবার দেখি হল না।