নয়াদিল্লি: এক বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানাল, সন্তান যতদিন না সাবালক হচ্ছে ততদিন তার দায়িত্ব বাবার। পাশাপাশি এও বলা হয়েছে, বাবার সঙ্গতি অনুযায়ী বেড়ে ওঠার অধিকার আছে সন্তানের এবং অভিভাবকদের মধ্যে সমস্যার মাশুল সন্তানকে দেওয়া উচিত নয়। প্রসঙ্গত, এই মামলায় হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই বধূ। তাঁর বিরুদ্ধে ‘নিষ্ঠুরতা’র অভিযোগ ছিল। সমস্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে বিচারপতি এম আর শাহ ও বিচারপতি এ এস বোপান্নার বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ হল, ২০১১ সাল থেকে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে থাকছেন না, ফলত এটা বলা যায় যে, তাঁদের বিবাহে অমেরামতযোগ্য ধ্বস নেমেছে। ওই স্বামী ইতিমধ্যে অন্য একজনকে বিয়েও করেছেন। সংবিধানের ১৪২ ধারা বলে পরিবার আদালত যে ডিক্রি দিয়েছিল এবং যাকে হাইকোর্ট মান্যতা দিয়েছে, সেই রায়ই বহাল রেখেছে শীর্ষ আদালত। বিবাহ বিচ্ছেদ হলেও স্বামী কিন্তু তাঁর দায় ও দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারবেন না বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলেছে, স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে যে গণ্ডগোলই হয়ে থাক, তার জন্য একজন শিশুর ভোগা উচিত নয়। সন্তানের প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠা পর্যন্ত তার যাবতীয় দায়িত্ব পালন করতে হবে স্বামীকেই। সন্তানের অধিকার রয়েছে বাবার সামর্থ্য অনুযায়ী লালিত-পালিত হওয়ার। বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে, প্রতি মাসে ওই স্বামীকে ৫০ হাজার টাকা করে দিতে হবে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এই নির্দেশ লাগু হবে।