মাওলানা আবদুল মান্নান : ‘আল্লাহ্ তাওবাকারীকে ভালোবাসেন এবং যাঁরা পবিত্র থাকেন, তাঁদেরকেও।’ (সূরা বাকারাহ্, আয়াত: ২২২) `
উপরোক্ত আয়াতে আল্লাহ্পাক মানুষকে সর্বপ্রথম শারীরিক পবিত্রতা অর্জন করার বিধান দিয়েছেন। পবিত্র মানুষের তাওবা আল্লাহ্ কবুল করেন। তাওবাকারী পবিত্র শরীরের মানুষেরা আল্লাহর মাগফিরাত ও সন্তুষ্টি অর্জন করতে সক্ষম হয়।
রোযার দ্বারা মানুষের শারীরিক সুস্থতা অর্জিত হয়। সুফি সাধকদের মতে, স্বল্প খাদ্যগ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং এতে হৃদয়ের স্বচ্ছতা অর্জন করা সম্ভব হয়। সেইসঙ্গে রোযা দেহের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। অতিরিক্ত খাদ্যাভ্যাসে মানুষের স্নায়ুকোষে যে বিষক্রিয়ার সৃষ্টি, রোযা তা বিনাশ করে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন, উপবাস ব্রত (রোযা) পালন করলে দেহের অভ্যন্তরে অ্যান্টিবায়োটিক সৃষ্টি হয়। যার মাধ্যমে বহু জীবাণু ধ্বংস হয়ে যায়। সারাবছর ধরে জৈব রস জাত যে বিষ দেহ-অভ্যন্তরে সঞ্চিত হয়। রোযা পালন করার ফলে তা নিষ্কাশিত হয়ে যায়।
সিয়াম ইচ্ছাশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করেঃ মাওলানা আশরাফ আলি থানভী রহ. ‘আহকামে ইসলাম আকল কি নযরমে’ গ্রন্থে সিয়াম বা রোযা সম্পর্কে যে বিশদ আলোকপাত করেছেন এর মধ্যে কয়েকটি উল্লেখ করা হয়।
১. রোযার দ্বারা প্রবৃত্তির উপর বুদ্ধিমত্তার পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ এর দ্বারা মানুষের পাশাবিক শক্তি অবদমিত হয় এবং আত্মিক শক্তি বৃদ্ধি পায়। এতে মনুষ্যত্ব জাগ্রত হয় এবং অন্তর বিগলিত হয় প্রতি পালকের প্রতি কৃতজ্ঞতায়।
২. রোযা দ্বারা মানুষের অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভয়ভীতি এবং তাক্ওয়ার গুণ সৃষ্টি হয়। এই কারণেই আল্লাহ্ বলেছেনঃ ‘যাতে তোমরা তাক্ওয়ার গুণ অর্জন করতে পার অর্থাৎ সাবধানি হয়ে চলো।’
৩. রোযার দ্বারা মানুষের দূরদর্শিতা আরও প্রখর হয়।