পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ পাহাড় টানত তাঁদের, ডাক পাঠাত হিমালয়, অ্যাডভেঞ্চারের নেশায় বেরিয়ে পড়তেন জানা-অজানার সন্ধানে।ভালোবাসার দেবভূমিতেই উত্তরাখন্ডে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে প্রাণ হারানো পাঁচ অভিযাত্রীর নিথর দেহ আজ সোমবার আনা হল কলকাতায়।
তথ্যপ্রমাণ দাখিল করে কফিনবন্দী দেহগুলি নিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনেরা। দমদম বিমানবন্দরে তখন শোকের আবহ। চোখের জল আটকাতে পারেননি অন্য যাত্রীরাও।
সোমবার সকাল ৮ বেজে ১৫ মিনিট নাগাদ নেতাজী সুভাষ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পোঁছায় ইন্ডিগোর 6C2346 বিমানটি। একে একে বার করে আনা হয় পাঁচ অভিযাত্রীর দেহ।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন তনুময়, সৌরভ, সুখেনদের সঙ্গে ফেসবুকে আলাপ কালীঘাটের শুভায়নের। সামনেই বিয়ে বলে শুভায়নের পরিবারের সদস্যরা শুভায়নকে নিষেধ করেছিলেন এই ট্রেকিংয়ে যেতে। কিন্তু অভিযানের নেশা দমিয়ে রাখতে পারেনি শুভায়নকে।
উত্তরাখন্ডের বাগেশ্বর থেকে কানাকাটা পাস হয়ে ছিল তাঁদের অভিযানের রাস্তা। তবে অত্যন্ত দুর্গম এই পথ। শেষমেস তুষারধসের কবলে পড়ে প্রাণ হারালেন এই পাঁচ অভিযাত্রী। যদিও আরও এক অভিযাত্রী সুখেন মাজির এখনও কোন খোঁজ মেলেনি।
এইদিন বিমানবন্দরে মামা তনুময়ের দেহ নিতে এসেছিলেন সুখেন মাজির ভাই শুভেন্দু। কান্নায় ভেঙে পড়ে তিনি জানান মামার দেহ নিতে এসেছেন কিন্ত এখনও দাদার সুখেন মাজির কোন খোঁজ। শোকস্তব্ধ গোটা পরিবার। শুভেন্দুর নিজেরও যাওয়ারও কথা ছিল কিন্তু শেষ মুহুর্তে ছুটি না মেলায় তিনি অভিযানে না যাওয়ার সিধান্ত নেন। এখন নিজেকে নিজেই স্বান্তনা দিচ্ছেন তবু তো বেঁচে আছেন।
দুর্গম এলাকায় প্রশাসনের সঙ্গেই উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। উলুবেড়িয়ার দুই অভিযাত্রী সাগর দে এবং সরিৎশেখর দাসের আত্মীয়ড়া পৌঁছেছেন উত্তরাখন্ডে। দেহ শনাক্ত করে ফিরবেন তাঁরা।