পুবের কলম প্রতিবেদক: এক ডাক্তারি পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল বরাহনগরের বনহুগলির বিশেষভাবে সক্ষম (প্রতিবন্ধী) হাসপাতালে। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনায় চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হয়।
অভিযোগ মৃত যুবককে ragging -এর শিকার। আর তা নিয়েই হাসপাতাল ও থানায় বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়াদের একাংশ ও একটি ছাত্র সংগঠন। জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে তার সহপাঠীরা। জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম প্রিয়রঞ্জন সিং। সে বিহারের গয়ার বাসিন্দা। দ্বিতীয় বর্ষের ওই পড়ুয়া বরাহনগরের বিশেষভাবে সক্ষম হাসপাতালের হস্টেলে থাকত। সোমবার রাতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় সহপাঠিরা। যদিও সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পড়ুয়া মৃত্যুর পর বরানগর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
এ দিন সেই ঘটনা নিয়ে হাসপাতালের অব্যবস্থার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে পড়ুয়ারা। তাদের অভিযোগ, হাসপাতালের মধ্যে কোনও এমারজেন্সি বিভাগ নেই। শুধু তাই নয়, প্রিয়রঞ্জনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ। প্রিয়রঞ্জনের এক বন্ধুর কথায়, সোমবার রাত ১১টা ৪০ নাগাদ প্রিয়রঞ্জনকে ওর এক রুমমেট ফোন করে। কিন্তু ও সেই ফোন ধরেনি। প্রায় ১২টা অবধি ফোন করে যান রুমমেট। এরপরই হস্টেল রুমে ঢুকে রাত ১২টা ১০ নাগাদ প্রিয়রঞ্জনকে উদ্ধার করা হয়।
এ দিকে বরানগরে বিশেষভাবে সক্ষম হাসপাতালে ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এক প্রেস বিবৃতিতে এসইউসিআই (কমিউনিস্ট), বরানগর আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদক সুপ্রিয় ভট্টাচার্য জানান, বনহুগলির এনআইএইচএইচ হাসপাতালে ঝুলন্ত অবস্থায় মাত্র ২১ বছরের ছাত্র ‘প্রিয়রঞ্জন সিংয়ের’ মৃত্যুর ঘটনায় আমরা ভীষণ ভাবে উদ্বিগ্ন।
ওই বিশেষভাবে সক্ষম হাসপাতালে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স না থাকায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেরি হয়, এমনকি যে আরএমও তাকে দেখতে আসেন তার কাছে স্টেথস্কোপ ছিল না। এই ঘটনা এক চরম গাফিলতি। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।