পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে এবার তিহাড় জেলের ভিতরে কেসিআর কন্যা বিআরএস নেত্রী কে কবিতাকে গ্রেফতার করল সিবিআই। গত ১৫ মার্চ হায়দরাবাদের বানজারা হিলস কবিতাকে এই একই মামলায় গ্রেফতার করে ইডি। আদালতের অনুমতিতে সিবিআই তাঁকে তিহার জেলের ভিতরেই জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছিল। অভিযুক্তের ফোন থেকে তাঁর সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে কথোপকথনের বিষয়ে কবিতার বক্তব্য জানতে চেয়েছিল তদন্তকারী সংস্থা। বর্তমানে বাতিল দিল্লির আবগারি নীতিতে আম আদমি পার্টিকে `খুশি` করতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে কে কবিতার বিরুদ্ধে। এজন্য একটি জমি লেনদেনের নথি পাওয়া গিয়েছে এক অভিযুক্তের কাছে।
গত মঙ্গলবারেই কবিতা আদালতকে লেখা এক চিঠিতে বলেন, আমার ভাবমূর্তি, মানসম্মানকে নিশানা করা হয়েছে। আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার অধিকারকে প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি আমার বিরুদ্ধে যে তদন্ত চালাচ্ছে, তা পুরোপুরি সংবাদমাধ্যমের বিচারের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
আদালতকে লেখা এক চিঠিতে কবিতা বলেন, যা চলছে সেটা একটা মিডিয়া ট্রায়াল। এই বিচার তার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। তার যাবতীয় গোপনীয়তাকে তুলে ধরা হয়েছে। এই চিঠিটি এজলাসে পড়ে শোনার কবিতার আইনজীবী। কেসিআর কন্যার অভিযোগ, আমি শিকার হয়েছি। আমার ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক সুনামকে নিশানা করা হয়েছে। আমার মোবাইল ফোন সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেলে দেখানো হয়েছে। সেখানে আমার গোপনীয়তাকে লোকচক্ষুর তুলে ধরা হয়েছে। চিঠির বয়ান অনুযায়ী, এজেন্সিগুলির সঙ্গে আমি সব সময় সহযোগিতা করে এসেছি, আমার সমস্ত ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়েছি। ইডির দাবিকে ভুল প্রমাণিত করে আমার সব মোবাইল ফোন ওদের হাতে তুলে দিয়েছি। একটি ফোনও নষ্ট করা হয়নি। কবিতাকে আদালত আগেই জানিয়েছিল, তিনি ব্যক্তিগত কিছু এজলাসে দিতে পারেন না, যা বলার আছে লিখিত আকার দিতে হবে।
তিনি আরও লিখেছেন, এজেন্সিগুলোর সঙ্গে বরাবর আমি সহযোগিতা করে এসেছি। আমার সমস্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য দিয়েছি। ইডির দাবি মিথ্যা প্রমাণ করে আমার সব মোবাইল ফোন ওদের হাতে তুলে দিয়েছি। একটি ফোনও নষ্ট করা হয়নি। এর আগে কে কবিতাকে আদালত জানিয়ে দেয়, ব্যক্তিগতভাবে তিনি এজলাসে কিছু বলতে পারেন না। তাঁর যা বলার আছে, তা যেন তিনি লিখিত আকারে বলেন।