পুবের কলম প্রতিবেদক: সপ্তাহের প্রথম দিন কাঠফাটা রোদে কাটালেও, অবশেষে দক্ষিণবঙ্গের জন্য সুখবর শোনাল আবহাওয়া দফতর। আগামী তিন-চার দিনে বৃষ্টি বাড়বে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। উপকূলের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। উপরের সব জেলাতেই হালকা থেকে মাঝারি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হবে। বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে। রবিবার সকালে কলকাতায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩০.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৫ থেকে ৯৪ শতাংশ।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সোমবার দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়াতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা সবথেকে বেশি রয়েছে। ওড়িশা ও উপকূল সংলগ্ন বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মঙ্গলবারের মধ্যে। দক্ষিণবঙ্গে একদিকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি; অন্যদিকে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি বজায় থাকবে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় দিনে ও রাতে অস্বস্তি হবে। তাপমাত্রার উল্লেখযোগ্য কোনও পরিবর্তন হবে না। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে আপাতত ৩ থেকে ৪ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। হালকা ও মাঝারি বৃষ্টি চলবে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই। জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলায় অপেক্ষাকৃত বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, মৌসুমী অক্ষরেখার পশ্চিমাংশ ক্রমশ সরে এসেছে দক্ষিণবঙ্গের কাছাকাছি। মৌসুমী অক্ষরেখা শ্রী গঙ্গানগর হিসার, দিল্লি, লখনৌ, বারানসি, গয়া, জামশেদপুর এবং দীঘা ও সংলগ্ন নিম্নচাপের উপর দিয়ে পূর্ব ও দক্ষিণ পূর্বদিকে এগিয়ে উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এর ফলে উত্তর ওড়িশা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। বঙ্গোপসাগরের ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই নিম্নচাপ ক্রমশ সরবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের দিকে। উপকূল সংলগ্ন এলাকায় হাওয়ার গতিবেগ বাড়বে। যার জেরে মঙ্গল ও বুধবার মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।