পুবের কলম প্রতিবেদক: ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রিমল। ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি রুখতে বুধবার নবান্নে জরুরি বৈঠক করেন মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকা। বৃহস্পতিবার থেকেই নবান্নে কন্ট্রোলরুম খোলা হবে। জানা যাচ্ছে, সপ্তাহের শেষে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত হবে বঙ্গে। তবে ঘূর্ণিঝড়টির ল্যান্ড ফল ঠিক কোথায় হবে, সে বিষয়টি এখনও জানা যায়নি।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রতিটি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলার নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব বিপি গোপালিকা। পাশাপাশি বিদ্যুৎ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গেও সম্পর্ক রেখে চলার নির্দেশ দেন তিনি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যুতের পোস্টগুলি যাতে অসুরক্ষিত না থাকে, সেই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য সচিব।
এদিন দমকল বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। নিউটাউনের একটি হোটেলে এই বৈঠক হয়। বৈঠকের পর দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু জানিয়েছেন, ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাসের কারণে দমকল বিভাগের ৮৪টি টিম তৈরি রাখা হয়েছে। অনেকসময়ই ঝড়বৃষ্টিতে গাছ ভেঙে যায়। গাছ ভেঙে পড়ে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে যায়। সেক্ষেত্রে বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দুর্যোগ মোকাবিলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিন আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের বুকে একটি নিম্নচাপ জন্ম নিয়েছে। শুক্রবার নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর সেটি শক্তি বাড়িয়ে উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হবে পূর্ব মেদিনীপুর ও দুই ২৪ পরগনায়। ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়া বইবে। শনিবারই রাজ্যে ষষ্ঠ দফায় ভোটগ্রহণ হবে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায়। ফলে ভোটের দিক পূর্ব মেদিনীপুরে বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে মনে মনে করা হচ্ছে। শনিবারের পর রবিবারও ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।