পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ দেশ জুড়ে চলছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। ইতিমধ্যে চার দফার ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচার সভা বিরোধী দলগুলি সরব হয়েছে কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে। বিরোধী দলগুলির দাবি-বিজেপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেকেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে। সেই আবহেই এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের বিশেষ ক্ষমতা খর্ব করল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বিশেষ আদালতে মামলা গৃহীত হলে অভিযুক্তকে সরাসরি গ্রেফতার করতে পারবে না এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ ব্যাপারে আগে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। বৃহস্পতিবার একটি মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ২০০২ সালের বেআইনি আর্থিক লেনদেন প্রতিরোধ আইনের (পিএমএলএ) বিশেষ আদালতে কোনও মামলা গেলে, ১৯ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে আর সরাসরি কাউকে গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বরং কাউকে হেফাজতে নিতে গেলে, এক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি আদায় করতে হবে তাদের।
এ দিন বিচারপতি এএস ওকা এবং ঊজ্জ্বল ভুঁইয়ার বেঞ্চে শুনানি চলছিল, তাতে আদালত বলে, “বিশেষ আদালতে বিষয়টি গৃহীত হলে ইডি এবং তাদের আধিকারিকদের আর ১৯ নং ধারায় ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা থাকে না। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারে না তারা। অভিযুক্ত যদি তদন্ত প্রক্রিয়া চলাকলীন হাজিরা দিয়ে থাকেন, সেক্ষেত্রে তাঁকে হেফাজতে পেতে চাইলে বিশেষ আদালতের অনুমতি নিতে হবে ইডিকে।”
পাশাপাশি, শীর্ষ আদালত আরও জানিয়েছে, এর পরও যদি ইডি ওই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চালিয়ে যেতে চায়, অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত হিসেবে নাম না থাকলেও কোনও ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারে তারা, তবে সেক্ষেত্রে অভিযোগ দায়ের হতে হবে আগেই, যার উল্লেখ রয়েছে পিএমএলএ-র ১৯ নং ধারায়। ৪৪নং ধারায় অভিযোগ দায়ের করার আগে পর্যন্ত যদি ইডি অভিযুক্তকে গ্রেফতার না করে থাকে, সেক্ষেত্রে আদালত অভিযুক্তের নামে সমন জারি করতে পারে, তবে ওয়ারেন্ট নয়। এমনকি যে মামলায় অভিযুক্ত জামিনে মুক্ত আছেন, সেক্ষেত্রেও সমন জারি আবশ্যক।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ২০৪ নং ধারায় সমন জারি করার পর অভিযুক্ত যদি বিশেষ আদালতের সামনে হাজিরা দেন, সেক্ষেত্রে তিনি হেফাজতে রয়েছেন বলে মনে হয় এমন আচরণ করা যাবে না। তাই সেক্ষেত্রে জামিনের জন্য আবেদন করারও প্রয়োজন নেই তাঁর। বিশেষ আদালত তাঁকে ৮৮ ধারায় বন্ড প্রদানের নির্দেশ দিতে পারে। এমনকি উপযুক্ত কারণ দেখালে বিশেষ আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সশরীরে হাজিরা দেওয়া থেকেও অব্যাহতি দিতে পারে।