জিশান আলি মিঞা, বহরমপুরঃ ২০১৫ সালে মাত্র ২০ শয্যা নিয়ে পথ চলা শুরু হয়েছিল বহরমপুর সিটি হাসপাতালের। জেলার বিশিষ্ট স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আবুল কালাম আজাদ মহাশয়ের পরিচালনায় দীর্ঘ আট বছরের পথ চলায় ১২২ শয্যায় উন্নীত হল ওই হাসপাতাল। মঙ্গলবার বহরমপুর শিল্পতালুকে এক বেসরকারি অনুষ্ঠান বাড়িতে নবম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সারগাছি রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী বিশ্বময়ানন্দজী মহারাজ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক, রাজ্য সভার প্রাক্তন সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান, আল-আমীন মিশনের সাধারণ সম্পাদক এম নুরুল ইসলাম, ডা. আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
ডা. আবুল কালাম আজাদ নীলরতন সরকার হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস ও এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিষয়ে এমএস পাশ করেন। নিজের জেলার ফিরে এসে প্রান্তিক মানুষের চিকিৎসা পরিষেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেন তিনি। নিজের প্রচেষ্টায় বহরমপুর শহর লাগোয়া চালতিয়া এলাকায় গড়ে তোলেন বেসরকারি ওই হাসপাতাল।
অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও আধুনিক মানের যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দ্বারা পরিচালিত ওই হাসপাতালে চিকিৎসার পাশাপাশি বিভিন্ন জটিল রোগের অস্ত্রোপচার করার সুবিধা রয়েছে। রয়েছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের মাধ্যমে চিকিৎসার সুবিধা।
এদিন সন্ধ্যায় বক্তব্যরত অবস্থায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ডা. আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, সততার সঙ্গে চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে সাফল্যের সঙ্গে প্রতিষ্ঠান নবম বর্ষ পূর্ণ করল। ২০ শয্যার হাসপাতাল থেকে ১২২ শয্যার পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল হয়েছে মানুষের ভালবাসায়। এর জন্য সকলের কাছে দোয়া, আশির্বাদ কামনা করেন তিনি।
স্বামী বিশ্বময়ানন্দজী মহারাজ তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজাদ ও তার প্রতিষ্ঠান আজ মানুষের আশির্বাদে মহীরুহে পরিণত হয়েছে। আহমদ হাসান ইমরান তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বা হাসপাতাল বাণিজ্যিকীকরণ হচ্ছে। তার মধ্য দিয়ে আবুল কালাম আজাদ যে ভাবনা নিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে স্বাস্থ্য পরিষেবা দিচ্ছেন তার জন্য কালাম সাহেবের সমস্ত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সাধুবাদ জানাচ্ছি। আশা করব এই হাসপাতাল মডেল হাসপাতালে পরিণত হবে। চাইব আবুল কালাম আজাদ ভবিষ্যতে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল তৈরি করতে উদ্যোগী হবেন।
নুরুল ইসলাম তাঁর বক্তব্যে বলেন, আবুল কালাম আজাদ আমার সঙ্গে আবেগে জড়িয়ে আছেন। মানুষের সেবা, আর্তের সেবা করা মানে আল্লাহর সেবা করা। আবুল কালামের মতো চিকিৎসকেরা সেই কাজটা করে চলেছেন। এদিনের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক হাতেমুল ইসলাম।