পারিজাত মোল্লা: বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিক প্রশিক্ষণ কলেজে ভর্তিতে স্থগিতাদেশ দিল। এই অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ও বিচারপতি সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার ভর্তি ঝুলে রইল আদালতে।সিঙ্গেল বেঞ্চে যেমন শুনানি রয়েছে, তেমনই হবে বলে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে।২০২১-২০২৩ বর্ষের ভর্তির বিজ্ঞপ্তির উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হল।
আগামী তিন দিনের মধ্যে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে গত ৩০ মে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, প্রতিটি ছাত্র ছাত্রীদের ভর্তির জন্য ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে যারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভর্তি হতে পারবে না। মামলাকারীর প্রশ্ন ছিল, এত অল্প সময়ের মধ্যে কী ভাবে ভর্তি হতে পারবে কেউ। তাই ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে আদালত পর্ষদের বিরুদ্ধেই আপাতত নির্দেশ দিয়েছে।
তাদের বিজ্ঞপ্তির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে আগামী ৯ জুন পর্যন্ত এই অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। ডিএলএড ভর্তির জন্য অনলাইনে ভর্তি সম্পূর্ণ হয়। কিন্ত যারা অফলাইনে ভর্তি হয়েছিল তাদের রেজিট্রেশন আটকে যায়। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল। এর আগে আদালতের নির্দেশে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ বৈঠক করে থাকে।
এরপরেই পর্ষদ তড়িঘড়ি একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এবং সেখানে তারা জানায়, আগামী তিন দিনের মধ্যে যারা অফলাইনে ভর্তি হয়েছিলেন তাদের অবিলম্বে রেজিস্ট্রেশন করে নিতে হবে তবে তার জন্য প্রতি ছাত্র-ছাত্রীকে ৩ হাজার টাকা করে দিতে হবে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই কলকাতা হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চে দ্বারস্থ হন এক ছাত্র।রাজ্যে ডিএলএডে ভর্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করল হাইকোর্টের অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী ৯ জুন পর্যন্ত এই অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ। আগামী ৬ জুন মামলার শুনানি হবে রেগুলার বেঞ্চে। ডিএলএড কোর্সটি দু’বছরের।
প্রশিক্ষণ শেষ করার জন্য অবশ্য সর্বোচ্চ ৩ বছর সময় দেওয়া হয় পড়ুয়াদের।যাঁরা টেটে বসতে চান, তাঁদের জন্য ডিএলএড বাধ্যতামূলক। রাজ্যে ৬০০ টি বেসরকারি কলেজে এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিন্তু হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে জেরে আটকে রইল ৩০ হাজারেরও বেশি পড়ুয়ার ভর্তি প্রক্রিয়া।