পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ¬ দিন-দিন মানুষের মধ্যে শরীরচর্চার প্রবণতা কমছে। এর সঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। বিভিন্ন দেশের সরকার যদি নাগরিকদের শরীরচর্চায় উৎসাহ না দেয় কিংবা এ বিষয়ক পদক্ষেপ নিতে উদাসীনতা দেখায়, সেক্ষেত্রে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের আরও ৫০ কোটি মানুষ হৃদ্রোগ, স্থূলতা, ডায়াবেটিস ও নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, কেবলমাত্র হাঁটা-চলা ও শারীরিক অনুশীলন না করার কারণে প্রতি বছর হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বিশ্বের ১৯৪টি দেশের জনস্বাস্থ্য বিষয়ক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অধিকাংশ দেশেই হাঁটাচলা, শারীরিক অনুশীলন বা এই জাতীয় শরীরবৃত্তিক কার্যক্রমে নাগরিকদের অংশগ্রহণের হার বেশ কম। ‘হু’র পরামর্শ, এসব সমস্যা সমাধানে মানুষকে অবশ্যই শরীরচর্চা করতে হবে। সরকারি উদ্যোগে সব বয়সের মানুষের শারীরিক পরিশ্রম বাড়ানোর জন্য চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের মাত্র ৩০ শতাংশ দেশ কাগজে-কলমে ও বাস্তবিক অর্থে নাগরিকদের শরীরবৃত্তিক কার্যক্রম বাড়ানোর নীতি নিয়েছে। এসব দেশের মধ্যে আবার ৭৫ শতাংশ দেশের কাছে অপ্রাপ্তবয়স্ক ও শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা ও শরীরবৃত্তিক কার্যক্রমের তথ্য থাকলেও প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরচর্চার কোনও তথ্য নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক ঘেব্রিয়াসুস বলেন, নাগরিকদের মধ্যে হাঁটা, সাইকেল চালানো, সাঁতার, খেলাধুলা ও অন্যান্য শরীরচর্চা বাড়াতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। কারণ এসব কার্যক্রমে নাগরিকদের অধিকহারে অংশগ্রহণ তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি ব্যাপকভাবে সামাজিক, পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক অবদান রাখতে পারে।