পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : হরিদ্বার ধর্ম সংসদে মুসলিমদের গণহারে হত্যার কথা বলেছিল কট্টর বিদ্বেষী সন্ন্যাসীরা। মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার জন্য হিন্দুদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল।সেখানে উপস্থিত ছিলেন সম্প্রতি হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করা জিতেন্দ্র ত্যাগী ওরফে( রিজভি)।এমন মাতাত্মক কথা বলার পরও কেবল এফআইআর দায়ের করেই দায়িত্ব শেষ করেছিল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। শুক্রবার এই মামলায় জিতেন্দ্র ত্যাগীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।যতি নরসিংহানন্দকেও পুলিশ আগেই গ্রেফতার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
এফআইআর-এ যতি নরসিংহনন্দ ও সাগর সিন্ধু মহারাজের নাম রয়েছে । নাম রয়েছে ধর্মদাস মহারাজ, সন্ন্যাসিনী অন্নপূর্ণার নামও। যদিও তাঁদের এখনও গ্রেফতার করা হয়নি। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যতি নরসিংহনন্দ।মুসলিম বিরোধী হিসেবে পরিচিত নরসিংহানন্দ এমনিতেই বিতর্কিত এক ব্যক্তিত্ব। প্রথম থেকেই এই মামলায় তাঁর নাম যুক্ত করার দাবি উঠছিল বিভিন্ন মহল থেকে। পরে অভিযোগে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হলেও নরসিংহানন্দকে গ্রেফতার করা হয়নি।
আগেই হিংসায় উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ধর্মান্তরিত জিতেন্দ্র নারায়ণ ত্যাগীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল উত্তরাখণ্ডে। হরিদ্বার কোতোয়ালিতে ত্যাগীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছিলেন গুলবাহার খান নামের এক ব্যক্তি। সেই পরিপ্রেক্ষিতে এদিন ত্যাগীকে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।
এদিন উত্তরাখণ্ড পুলিশের তরফে হিন্দিতে একটি টুইট করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের মানুষের বিরুদ্ধে হিংসার উসকানি দেওয়া হয়েছিল সেদিন। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েও পড়ে। সেই অভিযোগে ওয়াসিম রিজভি ওরফে জিতেন্দ্র ত্যাগীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে হরিদ্বার কোতোয়ালিতে। আইনি প্রক্রিয়া চলছে।