বিশেষ প্রতিবেদন: বিশ্বের বেশ কয়েকটি মুসলিম দেশে ইসরাইলি নাগরিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। কারণ এই দেশগুলো ইসরাইলকে একটি রাষ্ট্র হিসেবে কখনই স্বীকৃতি দেয়নি। ফলে ইসরাইলি পাসপোর্টকে বৈধ হিসেবে গণ্য করে না দেশগুলি।
জানা যায়, ফিলিস্তিনের ওপর কয়েক যুগ ধরে চলা নির্যাতন ও গণহত্যার কারণেই মুসলিম দেশগুলিতে ঢোকার সুযোগ হারিয়েছে ইসরাইলিরা। ইসরাইলি নাগরকিদের বয়কট করার মাধ্যমে দেশগুলি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে চলেছে। গত ১৪ মার্চ ‘ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিসটিকস’ একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। ওই তালিকায় বলা হয়, বিশ্বের কয়েকটি দেশ ইসরাইলিদের প্রবেশ করতে দেয় না।
দেশগুলি হল— আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, ব্রুনেই, ইরান, ইরাক, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, পাকিস্তান, সউদি আরব, সিরিয়া এবং ইয়েমেন। ওয়ার্ল্ড অব স্ট্যাটিসটিকস তালিকাটি প্রকাশ করার পর দখলদার ইসরাইল তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইসরাইল শুধু বলেছে, ‘ঠিক আছে’। মধ্যপ্রাচ্যে শুধুমাত্র সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে ইসরাইলিরা অন অ্যারাইভাল ভিসা সুবিধা পেয়ে থাকে। ইসরাইল বিষয়ক পোস্টটি ইতিমধ্যেই এক্সে ভাইরাল হয়ে গেছে। নেটিজেনরা এ নিয়ে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় মন্তব্যই করেছেন।
একজন লিখেছেন, ‘আমার ইসরাইলি পাসপোর্ট নেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি এসব দেশে যেতে চাই না।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘যেভাবে সবকিছু হচ্ছে। আর কয়েকদিন পর শুধুমাত্র আর্জেন্টিনা ইসরাইলি পাসপোর্ট গ্রহণ করবে।’ বর্তমানে বিশ্বের ১৭১টি অঞ্চলে ভিসা ফ্রি সুবিধা পেয়ে থাকে ইসরাইলিরা। বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকের ২০তম স্থানে আছে ইসরাইল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও লাতিন আমেরিকার সব দেশে ইসরাইলিরা ভিসা ছাড়াই প্রবেশ করতে পারে। ইসরাইলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে এবং ভিসার প্রয়োজন রয়েছে এমন দেশগুলি হল— চিন, ভারত এবং আমেরিকা।
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.21-PM.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM-1.jpeg)
![](https://archived.puberkalom.com/wp-content/uploads/2024/06/WhatsApp-Image-2024-06-03-at-7.46.20-PM.jpeg)