পুবের কলম প্রতিবেদকঃ উপযুক্ত পারিশ্রমিক সহ একগুচ্ছ দাবিতে গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা বৃহস্পতিবার সল্টলেকে পঞ্চায়েত দপ্তরে ডেপুটেশন দিল।পঞ্চায়েত ও গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের সামনে সারা রাজ্য থেকে জেলা স্তরের সম্পদ কর্মীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এদিন বারোটা থেকে তাদের অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর দুটোর দিকে তাদের অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয় চার হাজার গ্রামীণ সম্পদ কর্মী।
সারা বাংলা গ্রামীণ সম্পদ কর্মীর সংগঠন রাজ্য কমিটির পক্ষ থেকে মিজানুর রহমান জানান, পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ কাজে তাদের যোগ্য পারিশ্রমিক পাচ্ছে না।
শুধুমাত্র ডেঙ্গু,ম্যালেরিয়া নয়, তাদেরকে রাজ্যের ২৩টি জেলায় ৩,৩৩৪টি পঞ্চায়েতের প্রায় পঁচিশ হাজার এর অধিক গ্রামীণ সম্পদ কর্মী সরকারের অন্যান্য কাজ ও “এগিয়ে বাংলার” সমস্ত প্রকল্প ব্লক ও পঞ্চায়েতের স্তরে করতে হয়।
সারা বছর কোনরকম ছুটি ছাড়াই ৫,২৫০ টাকা নিয়ে তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হয়। তাও আবার ৪-৫ মাস পরে বেতন মেলে। তাদের এই দুঃখ দুর্দশার কথা স্মরণ করিয়ে দিতেএদিন পঞ্চায়েত দপ্তরের সামনে মানবিক সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে তারা সমবেত হন বলে জানান সংগঠনের পক্ষে মিজানুর রহমান।
তিনি আরো বলেন, যেখানে জব কার্ডের ন্যূনতম মজুরি ২২৩ টাকা প্রতিদিন সেখানে কোন রকম ছুটি না দিয়ে ১৭৫ টাকায় কাজ করিয়ে নিচ্ছে রাজ্য সরকার। সম্পদ কর্মীদের দাবিগুলির মধ্যে ছিল, রাজ্য সরকারের কর্মচারীর ন্যায় সমস্ত সুযোগ-সুবিধা দিয়ে সম্মানজনক বেতন পরিকাঠামো দিতে হবে।
৬২ বছরের কর্মনিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে ইত্যাদি। গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের দাবি দাওয়া সম্মিলিত স্মারকলিপি নিয়ে দশ জনের একটি প্রতিনিধি দল দপ্তরের আধিকারিক স্পেশাল সেক্রেটারি শুক্তি সীতা ভট্টাচার্য্যকে জমা দেন ও আলোচনা করেন।
কমিটির মোশারফ হোসেন বলেন, তাদের এই দাবিকে মান্যতা না দিলে কলকাতার বুকে আগামীতে তারা বাধ্য হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনে সামিল হবেন। এদিনের এই ডেপুটেশন কর্মসূচিতে অংশ নেন সারা বাংলা গ্রামীণ সম্পদ কর্মী সংগঠনের শামীমা আসমান, শেখ জুলফিকার, সুজাউদ্দিন আহমেদ, হরি সাধন, সমর দাস, প্রসেনজিৎ, অমিত, লক্ষ্মী দত্ত, রহমতউল্লাহ , কৌশিক সহ আরও অনেকে।