পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অবসাদ বা ডিপ্রেশন, একটি মানসিক সমস্যা। তবে এই মানসিক অবসাদের ভয়ঙ্কর পরিণতির শিকার হল উত্তরপ্রদেশের একটি পরিবার। স্ত্রী ও দুই সন্তানকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হলেন এক চক্ষু চিকিৎসক। উত্তরপ্রদেশের রায় বেরিলির ঘটনা। চারটি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত চিকিৎসকের নাম অরুণ কুমার। রেলওয়েতে মেডিকেল অফিসার হিসাবে কর্মরত চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণ কুমার রায়বেরেলিতে কর্মরত ছিলেন। তদন্তে জানা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। রেলকলোনিতে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরুণ কুমার মির্জাপুরের রেল কলোনিতে থাকতেন। গত রবিবার অরুণ কুমারকে শেষ দেখা গিয়েছিল। পরের দুদিন সে হাসপাতালে না গেলে তার সহকর্মীরা অরুণ কুমারের খোঁজে তার বাড়িতে আসেন। দরজার বেল বাজানোর পরেও কেউ দরজা না খোলায় তাদের সন্দেহ হয়। ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরের ঢোকেন তারা। সহকর্মীরা দেখেন চিকিৎসকের স্ত্রী অর্চনা, মেয়ে আদিভা(১২) আরভ (৪) সহ ডাঃ অরুণ কুমারের দেহ পড়ে রয়েছে। এর পরেই তারা ঘটনার খবর দেন পুলিশে। দেহের পাশে একটি হাতুড়ি, রক্তের দাগ ও মাদকের ইনজেকশন পাওয়া গেছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ডাঃ অরুণ কুমার মাদক মেশানো ইঞ্জেকশন দিয়ে স্ত্রী ও সন্তানকে বেহুঁশ করে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে খুন করে। এর পর চক্ষু বিশেষজ্ঞ নিজের হাতের শিরা কেটে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হওয়ায় গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে আত্মঘাতী হন তিনি। রায়বেরিলির পুলিশ সুপার অলোক প্রিয়দর্শী বলেন, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কমল কুমার দাস নামে চিকিৎসকের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, ডাঃ কুমার ভালো মানুষ ছিলেন। রোগীদের সঙ্গেও খুব ভালো ব্যবহার করতেন। পরিবারের কোনও সমস্যা থেকে হয়তো এই ঘটনা ঘটেছে। খবর শুনে হতবাক হয়ে গেছি। লখনউ রেঞ্জের আইজি তরুণ গওবা ঘটনাস্থলে আসেন। আইজি জানান, প্রতিবেশীরা তাদের জানিয়েছেন, ডাঃ অরুণ কুমার অল্পেতেই খুব রেগে যেতেন। তদন্ত করে আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি।