পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : জামিন পেলেন প্রাক্তন কংগ্রেস কাউন্সিলর ইশরাত জাহান। সোমবার তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে দিল্লির আদালত।২০২০ এর দিল্লি দাঙ্গায় ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে তাঁকে পাকড়াও করেছিল অমিত শাহের পুলিশ।সেই থেকেই জেল খাটছিলেন তিনি।২৬ ফেব্রুয়ারী,২০২০ -এ গ্রেফতার করা হয়েছিল ইশরাতকে।তারপর থেকেই জেল হেফাজতে দিন কাটছিল তাঁর।
এদিন অতিরিক্ত দায়রা বিচারক অমিতাভ রাওয়াত ইশরাতের জামিন মঞ্জুর করেন।ইশরাত জাহানের পক্ষে সওয়াল করেন আইনজীবী প্রদীপ তেওতিয়া। সরকারের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত প্রসাদ। একই মামলায় সহ-অভিযুক্ত সেলিম মালিক এবং শারজিল ইমামের জামিনের আবেদনের আদেশ ২২ মার্চ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি দাঙ্গার বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে ইশরাত জাহানের জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ নেই।আদালতে জানান ইশরাতের আইনজীবী।তিনি বলেন ওরা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ইশরাত একজন আইনজীবী। তিনি একজন তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ।বুদ্ধিমান। এমন একটি ওয়ার্ড থেকে ইশরাত জয়ী হয়েছিলেন যেখানে মুসলিমদের সংখ্যা কম ছিল। উভয় সম্প্রদায়ই তাকে ভোট দিয়েছে। ইশরাতের আগে ওই ওয়ার্ড থেকে আগে কোনও মুসলিম জয়ী হননি।” সরকারি আইনজীবীর অভিযোগ ইশরাত এই দাঙ্গার অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী।
দিল্লি দাঙ্গায় মোট ৫৩ জন নিহত হয়েছিলেন। দাঙ্গার প্রথম পর্যায়ে ১৪২ জন আহত হয়েছিলেন। পরে আরও ৬০৮ জন আহত হওয়ার খবর মিলেছিল। ইশরাত জাহান ছাড়া যাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল তারা হলেন, আপ কাউন্সিলর তাহির হুসেন, জামিয়া কোয়ার্ডিনেশন কমিটির সদস্য সফুরা জারগার, মিরান হায়দার, শিফা ওর রহমান, অধিকারকর্মী খালিদ সাইফ। সাদাব আহমেদ, তাসলিম আহমেদ, সালিম মালিক এবং আতহার খান। জেএনইউর প্রাক্তন ছাত্র নেতা উমর খালিদ এবং জেএনইউ ছাত্র শারজিল ইমামের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়েছিল সাপ্লিমেন্টরি চার্জশিট।