পুবের কলম ডেস্ক : রাজধানীর আবহাওয়া শুধু নয়, এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স বা একিউআই ও বাতাসে ভাসমান ধুলিকণা এখন উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। নির্মাণকাজ সহ নানা কারণে বাতাসে কণার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণে দিল্লি ও আশেপাশের অঞ্চলে সমস্ত নির্মাণক্ষেত্রে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কেন্দ্র সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে, নয়া পার্লামেন্ট ও সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের ফলে কোনও রকম দূষণ হচ্ছে না। ধুলো আটকানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দিল্লিবাসীরা অভিযোগ তুলেছিল যে, কেন্দ্রীয় এই প্রকল্পগুলির জন্য শহরের দূষণের মাত্রা বেড়েছে। এখন প্রশ্ন হল, সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের ধুলো যদি আটকানোর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় তাহলে অন্যান্য নির্মাণক্ষেত্রে সেই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হচ্ছে না কেন? এর আগে দাবি করা হয়েছিল, মেঘের আচ্ছাদন শত্রুপক্ষের রাডারকে কৌশলে এড়িয়ে যেতে সক্ষম করে তুলেছে আমাদের বিমানকে। এটা কি সেই ধরনের কোনও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি? জানতে চাইছে দিল্লিওয়ালারা। যাইহোক, ফিরোজ শাহ কোটলা ক্রিকেট মাঠের বর্তমানে নাম রাখা হয়েছে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম। এই মাঠেই গাভাসকারের ঐতিহাসিক ইনিংস ও কুম্বলের দশ উইকেট নেওয়া দেখেছে দিল্লির বাসিন্দারা। যদিও বিদেশি ক্রিকেট দলগুলি টেস্ট ক্রিকেট খেলতে চাইত না দিল্লিতে। কেবলমাত্র দূষণের কারণেই। গত ছয় বছরে এই শহর জঘন্যতম নভেম্বর প্রত্যক্ষ করেছে। একটানা ১১ দিন ‘গুরুতর’ দূষণে হাঁসফাঁস করেছে দেশের রাজধানী। সাম্প্রতিক সময়ে এত খারাপ পরিস্থিতি আর তৈরি হয়নি। গোটা মাস জুড়েই বায়ুর অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। দাবি করা হয়েছে, পাশের রাজ্যগুলিতে ফসলের অবশিষ্টাংশ বা নাড়া পোড়ানোর ফলে দূষিত হচ্ছে দিল্লির বাতাস। কেউ কেউ আবার একধাপ উগ্র জাতীয়তাবাদী পদক্ষেপ ফেলে দূষণের জন্য দায়ি করেছে পাকিস্তানকে। বিশ্বের দূষিততম শহরগুলির তালিকায় প্রথম দিকে রয়েছে দিল্লি। এখানকার বাসিন্দাদের কাছে এখন সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষার বস্তু হল নির্মল হাওয়া। তা কবে মিলবে বা আদৌ মিলবে কিনা আপাতত কেউ জানে না।