পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: দীপাবলিতে দিল্লিতে বাজি পোড়ানোর নিষেধাজ্ঞা ছিল সুপ্রিম কোর্টের। আদালতের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ভয়াবহ দূষণের মধ্যেই দীপাবলি পালিত হল দিল্লিতে, পোড়ানো হল আতশবাজি। দূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি সহ এনসিআর। আতশবাজির ব্যবহার সেই দূষণের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে দিল্লি সহ তার আশেপাশের এলাকা ধোঁয়াশার ঘন চাদরে ঢেকে গেছে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকায় দৃশ্যমানতা কয়েকশো মিটার কমে গেছে।
লোধি রোড, আরকে পুরম, পাঞ্জাবি বাগে দেদার বাজি পুড়েছে। শনিবার দিল্লির স্বাস্থ্য বিভাগ জনসাধারণের জন্য একটি সতর্কবার্তা জারি করে। যেখানে বলা হয় পরিস্থিতি বিচারে বর্তমান সময়ে প্রাতঃভ্রমণ ও ব্যায়াম এড়িয়ে চলতে হবে। অতি দূষিত এলাকাগুলিকে এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে শিশু, বৃদ্ধ সহ অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের।
সম্প্রতি দূষণ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়ে কেজরি সরকার। দিল্লি সহ পঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড, হরিয়ানায় খড় পোড়ানো বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লির পরিবেশের কথা চিন্তা করেই বাজি ফাটানোয় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সুপ্রিম কোর্ট। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত নিয়ে আলোচনা করে প্রশাসন। পরে প্রাকৃতিক বৃষ্টিতেই কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। আবহাওয়ার উন্নতি হয়। তবে দীপাবলির রাতে সব নির্দেশ কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দেদার বাজি ফাটানো চলল দিল্লিতে।
সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৭টার দিকে দিল্লির আনন্দবিহারে বাতাসের গুণগত মান ছিল খুবই খারাপ। আনন্দ বিহারে বাতাসের গুণগত মান তথা একিউআই অত্যন্ত খারাপ। সকাল ৬টায় আনন্দ বিহারে একিউআই ছিল ২৯৬ কিন্তু সিপিসিবি তথ্য অনুযায়ী সকাল ৭টার মধ্যে তা বেড়ে পৌঁছেছে ৩০১-এ। শহরের বেশির ভাগ এলাকায় বায়ুর গুণমান ‘খারাপ’। সকাল ৬টা ৫৫-র দিকে নয়াদিল্লি এলাকায় বাতাসের একিউআই ছিল ৫৮৯।