পুবের কলম প্রতিবেদক: ইন্তেকাল করলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী, শিল্পপতি ও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক খালিদ এবাদুল্লাহ (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজেউন)। বুধবার দিন গত রাত ২টো নাগাদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫২ বছর। প্রাথমিকভাবে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে (ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ)। সেখানে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তিনি থাকতেন পার্ক সার্কাসের ডনবক্স স্কুল সংলগ্ন শ্রীজন হেরিটেজ আবাসনের নিজের বাড়িতে। স্ত্রী, তিন মেয়ে, মা-আব্বা ও ভাইদের রেখে তিনি ইন্তেকাল করেন। বৃহস্পতিবার আসর নামাজ বাদ ৩ নম্বর গোবরা কবরস্থানে দাফনকার্য সম্পন্ন হয়। পরিবারের তরফে তাঁর রূহে মাগফিরাতের জন্য দোয়ার আবেদন করেছেন।
দীর্ঘদিন ধরে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি ছিলেন সোনিয়া-গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ। জাতীয় কংগ্রেস থেকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। এন্টালি থেকে ২ বার এবং মগরাহাট থেকে ১ বার বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন। এরপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। অল ইন্ডিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের জেনারেল সেক্রেটারি হয়েছিলেন। রাজ্যের দক্ষ সংগঠক পরিচয় দিয়ে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের মাদার কমিটির সেক্রেটারি পদে সম্প্রতি নিযুক্ত হয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন প্রসিদ্ধ ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি। পাশাপাশি তিনি সমাজসেবার কাজের সঙ্গেও নিজেকে নিযুক্ত রেখেছিলেন বহু মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বিভিন্নভাবে মানুষকে সহযোগিতা করতেন। বহু মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ইয়াতিমদের সহযোগিতা করতেন।
খালিদ এবাদুল্লাহ একজন রাজনীতিবিদ হলেও সকলের প্রিয় পাত্র ছিলেন। খুব অল্প বয়সেই ব্যবসায় সাফল্য লাভ করেন। প্রথমে সোমেন মিত্রের হাত ধরে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন পরবর্তীতে মানস ভুঁইয়ার ঘনিষ্ট ছিলেন। মানস ভুঁইয়ার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
এদিন মরহুম খালিদ ইবাদুল্লাকে দেখতে আসেন মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, বিধায়ক দেবাশীষ কুমার, কাউন্সিলার সাম্মি জাহান, হাজি নুরুল ইসলাম, মোক্তার আলি, একেএম ফারহাদ, এহেতাসামুল হক, রাকিবুল আজিজ, সুদীপ্ত সরকার, আলি হোসেন সনু প্রমুখ।
তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানান, খালিদ এবাদুল্লাহ মানুষ হিসেবে খুব ভালো ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে কলকাতার সংখ্যালঘু সমাজে শোকের ছায়া দেখা দিয়েছে।