পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: রাজ্যসভা ভোটে হিমাচল প্রদেশের পাশাপাশি মঙ্গলবার ‘ক্রস ভোটিং’ হল উত্তরপ্রদেশ এবং কর্নাটকেও। তবে হিমাচলের মতো শাসকদল নয়, ওই দুই রাজ্যে ‘ঘর ভেঙেছে’ বিরোধীদের।
রাজ্যসভা ভোটের প্রথম ফল বেরলো কর্নাটক থেকে। কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকে শাসকদলের ৩ জন প্রার্থী জিতেছেন। অন্যদিকে, বিজেপির একজন জয়ী হয়েছেন। কংগ্রেসের অজয় মাকেন, নাসির হুসেন এবং জিসি চন্দ্রশেখর জিতেছেন। বিজেপির নারায়ণ বন্দিগে জয়লাভ করেন মঙ্গলবার। ভোটগ্রহণ চলাকালীনই এক বিজেপি বিধায়কের কংগ্রেস প্রার্থীকে ভোটদানের খবর সামনে আসে। শেষ পর্যন্ত বিরোধী বিজেপি-জেডিএস জোটকে হারিয়ে রাজ্যসভা ভোটে কর্নাটকের তিনটি আসন দখল করল সে রাজ্যের শাসকদল কংগ্রেস। বিরোধী জোটের দখলে গিয়েছে একটি।
উত্তরপ্রদেশে প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র পাঁচ বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে। অন্য দিকে, কর্নাটকে শাসকদল কংগ্রেসের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন প্রভাবশালী বিজেপি বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী এসটি সোমশেখর গৌড়া। উত্তরপ্রদেশে প্রধান বিরোধী দল সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র পাঁচ বিধায়ক বিজেপি প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার পরে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে। হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখু স্বীকার করে নিলেন ‘ক্রস ভোটিং’ হয়েছে। সেই সঙ্গে বললেন, ‘‘বিধায়কেরা বিক্রি না হলে আমরাই জিতব।’’
আগামী এপ্রিলে ১৫টি রাজ্যের ৫৬ জন রাজ্যসভার সদস্য অবসর নিতে চলেছেন। পশ্চিমবঙ্গের পাঁচ, উত্তরপ্রদেশের ১০, অন্ধ্রপ্রদেশের তিন, বিহারের ছয়, ছত্তীসগঢ়ের এক, গুজরাতের চার, রাজস্থানের তিন, হরিয়ানার এক, হিমাচল প্রদেশের এক, কর্নাটকের চার, মধ্যপ্রদেশের পাঁচ, মহারাষ্ট্রের ছয়, তেলঙ্গানার তিন, উত্তরাখণ্ডের এক এবং ওড়িশা থেকে তিন জন নির্বাচিত হওয়ার কথা। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১৩টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৪১ আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাদের বিধায়ক সংখ্যার অনুপাতে প্রার্থী দেওয়ার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই ভোটপর্ব মিটে যায়। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ হয় উত্তরপ্রদেশ, কর্নাটক এবং হিমাচলের মোট ১৫টি আসনে।