পুবের কলম প্রতিবেদকঃ গতবছর ১৮ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর বন্ধ করা হয় উল্টোডাঙা উড়ালপুলের কলকাতামুখী লেন। কেএমডিএ’র পক্ষ থেকে উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ইঞ্জিনিয়াররা পরীক্ষা,নিরীক্ষা করে জানান, উড়ালপুলের অনেকাংশই দুর্বল।
তাই উড়ালপুলের নীচে চারটি অস্থায়ী লোহার পিলার বসানো হয়।কলকাতা শহরে উড়ালপুল ভেঙে পড়ার ঘটনা আগেও দেখেছে আমজনতা। সেইসব ঘটনার পর একাধিক উড়ালপুলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে রাজ্য সরকার। এমনকী সারিয়ে তোলা হয় একাধিক উড়ালপুল। আবারও সেই আশঙ্কা দেখা দিয়েছে উল্টোডাঙা উড়ালপুলে। উল্টোডাঙা উড়ালপুলে একাধিক জায়গায় ধরা পড়ল ফাটল। উড়ালপুলের দু’দিকের লেনে একাধিক পিলারে ফাটল ধরা পড়তেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। ঘটনাস্থলে যান কেএমডিএ’র ইঞ্জিনিয়াররা।
ঠিক কী ঘটেছে উল্টোডাঙায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, ইএম বাইপাস থেকে লেকটাউন যাওয়ার রাস্তায় যে উড়ালপুল পড়ে সেটাই উল্টোডাঙা উড়ালপুল। এবার তার পিলারে ধরেছে ফাটল। কয়েকদিন ধরেই এই উড়ালপুলের পিলারে ফাটল দেখতে পান স্থানীয়রা। বুধবার সকাল থেকে ওই ফাটল নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছিল। ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে যান চলাচল বন্ধ রেখে উল্টোডাঙা উড়ালপুলের ভারবহন ক্ষমতা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কেএমডিএ। উড়ালপুলের একাংশ দুর্বল হয়ে পড়ায় চারটি পিলার বসানো হয়েছিল। স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেও কীভাবে ফাটল ধরল? উঠছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে এই উড়ালপুলটি তৈরি করেছিল ম্যাকিন টস বার্ন সংস্থা। ২০১১ সালের মার্চ মাসে উল্টোডাঙ্গা উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে লরি পড়ে গিয়েছিল খালে। তারপর থেকে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল এই উড়ালপুল। এমনকী ২০১৯ সালের ৯ জুলাই উড়ালপুলের পিআর ক্যাপে বড় ফাটল ধরা পড়ায় উড়ালপুলের উপর যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল।
তারপর এখানে কী হয়েছিল? গতবছর ১৮ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর বন্ধ করা হয় উল্টোডাঙা উড়ালপুলের কলকাতামুখী লেন। কেএমডিএ’র পক্ষ থেকে উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়। ইঞ্জিনিয়াররা পরীক্ষা,নিরীক্ষা করে জানান, উড়ালপুলের অনেকাংশই দুর্বল। তাই উড়ালপুলের নীচে চারটি অস্থায়ী লোহার পিলার বসানো হয়। এবার উড়ালপুল থেকে লেকটাউনের দিকে নামার ১০০ মিটার আগে সেই লোহার পিলারের দু’দিকে ফাটল ধরায়আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।