উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়,জয়নগর : গুলি আমি চালায়নি গুলি চালিয়েছে সাহাবুদ্দিন,আদালত চত্বরে এমনই মন্তব্য করলেন বামুনগাছি শুট আউট কান্ডে ধৃত শাহারুল শেখ।বামুনগাছির তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো এবার পুলিশের হাতে। তৃণমূল নেতার গতিবিধি খুঁটিয়ে দেখার জন্য তাঁর বাড়ির পাশেই আশ্রয় নিয়েছিল শাহরুল শেখ নামে এক অভিযুক্ত। তাঁর বাড়ি ডায়মন্ডহারবারে হলেও বিগত কয়েকদিন ধরে সইফুদ্দিনের প্রাসাদোপম বাড়ির পাশেই থাকত সে। সোমবারই খুনের ঘটনার পরেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শাহরুল বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত। পাশাপাশি দর্জির কাজও করে সে। অভিযোগ, সইফুদ্দিনের উপর নজরদারি চালানোর জন্য শাহরুলকে নিযুক্ত করা হয়েছিল। সোমবার সকালে গুলি চালানোর সময়েও সে উপস্থিত ছিল।
মঙ্গলবার বারুইপুর মহকুমা আদালত থেকে বেরিয়ে একাধিক বার এই দাবিই করলেন ধৃত শাহরুল শেখ। শাহারুল বলে গুলি আমি চালায়নি ।জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বারুইপুর মহকুমা আদালত থেকে বেরিয়ে মঙ্গলবার শাহরুল জানান, খুনের নির্দেশ দিয়েছিলেন নাসির।গুলি করে ছিলেন সাহাবুদ্দিন। তবে কে এই নাসির, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে।শাহরুলকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিল পুলিশ। আদালত তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ২৪ নভেম্বর তাঁকে আবার আদালতে হাজির করানো হবে।
পাশাপাশি, আদালত সঠিক সময়ে অভিযুক্তের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর নির্দেশও দিয়েছে। কোর্ট লকআপে তাঁর উপর যাতে কোনও অত্যাচার না হয়, সেই নির্দেশও দিয়েছেন বিচারক।আদালত থেকে বার হওয়ার পরে শাহরুল বলেন, নাসির খুন করার অর্ডার দিয়েছিলেন।কে সেই নাসির? শাহরুল শুধু বলেন, বড়ভাই।’ কার বড়ভাই, তা অবশ্য প্রকাশ করেননি।
শুধু বার বার দাবি করেছেন, ‘গুলি আমি চালাইনি, চালিয়েছে সাহাবুদ্দিন।’ তৃণমূল নেতা খুনের পর এই সাহাবুদ্দিনকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে।তবে পুলিশ নিজেদের হেফাজতে রেখে কে এই নাসির, কি ছিলো তাদের প্লান সবকিছু জানার চেষ্টা করছে।এদিকে সোমবারের এই ঘটনার পর থেকে মৃত তৃনমূল নেতা সাইফুদ্দিন লস্করের বাড়ি সহ এলাকা শুনসান।তাঁর বাড়ি সহ এলাকার একাধিক জায়গায় পুলিশ পিকেট বসানো আছে।