পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ভারতীয় অর্থনীতিকে বেসামাল করার জন্য পাকিস্তানে ছাপা জাল নোট বাংলাদেশ হয়ে ঢুকে পড়ছে ভারতের বাজারে। বাংলাদেশের যৌথ সহযোগিতায় ন্যাশানাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি বা এনআইএ শুরু করে দিয়েছে তদন্ত। এই কাজের পেছনে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর প্রছন্ন মদত আছে বলে মনে করছেন এনআইএর গোয়েন্দারা। এনআইএর গুয়াহাটি কার্যালয়ের ইন্সপেক্টর অর্পণ সাহাকে এই মামলার প্রধান তদন্তকারী অফিসারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি অ্যাক্ট, ২০০৮ এর অধীনে এনআইএ বিদেশী মাটিতে তদন্ত করেছে এমন মামলাগুলির মধ্যে এটি অন্যতম একটি মামলা। অপরাধের মাত্রা ও গুরুত্ব বিচার করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই মামলার দায়িত্ব তুলে দেয় এনআইএর হাতে। তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয় ইন্সপেক্টর সাহাকে।
ভারত এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে যে তদন্ত শুরু হয়েছে, তাতে ইতিমধ্যেই কিছুটা সাফল্য এসেছে। বাংলাদেশ পুলিশের জালে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর ধরা পড়ে পাকিস্তানে ছাপা হওয়া ভারতীয় জাল নোট কারবারি ফতেমা আখতার আপি এবং তার সহযোগী শেখ মুহাম্মদ আবু তালেব।
তাদের কাছ থেকে বাংলাদেশ পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে সাত কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার জাল ভারতীয় নোট। ফতেমা আপি এবং আবু তালেব দুজনেই বাংলাদেশের কসবার বাসিন্দা। এই পুরো তথ্য বাংলাদেশ পুলিশ এনআইএ অফিসারদের দিয়েছেন। পুরো ঘটনার মধ্যে কি যোগসূত্র রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় জানা গেছে যে বাংলাদেশে বাজেয়াপ্ত করা ওই জাল নোট দুইনপাকিস্তানি নাগরিক – সুলতান এবং সফি কে দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল।
বাংলাদেশ পুলিশ গত বছরের ২৬ নভেম্বর বাংলাদেশের বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ এর ধারা 2S-A(B) এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করে।
এনআইএ বলেছে যে এটি ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) আর্থিক প্রতারণা, জাল নোট স্মাগলিং সহ একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এনআইএ এই মামলার তদন্ত ভার হাতে নেয়।