পুবের কলম প্রতিবেদক: দুদিন আগেই মিলেছিল সেই স্বস্তির খবর। প্রায় পৌনে তিন বছর পরে অবশেষে করোনা শূন্য হয় রাজ্য। গত প্রায় মাস দেড়েক ধরেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১০-এর নীচেই ছিল। তবে রবিবার সংখ্যাটা শূন্যতে পৌঁছয়। কিন্তু সেই স্বস্তির মেয়াদ খুব দীর্ঘস্থায়ী হল না।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর লাগামছাড়া হয়ে পড়েছিল পরিস্থতি। সেই অবস্থায় মাস্কের ব্যবহার ভুলতে বসেছিল আমজনতা। গ্রাফও নীচের দিকে গিয়েছিল। তবে এরপর আবারও তৃতীয় ঢেউ দেখে বিশ্ববাসী। সেখানেও বহু মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন। মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুও দেখেছিল রাজ্যবাসী।
পুজোর পর চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কা করা হলেও অবশেষে স্বস্তি মেলে। কিন্তু ফের ফিরে আসছে আতঙ্ক। আর সতর্ক যে থাকতে হবে সে কথা তো বলাই বাহুল্য।
তবে অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আগে থেকেই সব দিক মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। কী হবে পদক্ষেপ, কোন পথে প্রস্তুতি, তা পর্যালোচনা করতে শীর্ষকর্তা এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। শোনা যায় চিন থেকেই ছড়িয়ে পড়েছিল সংক্রমণ । চিনে সাম্প্রতিক অতীতে হুহু করে বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। মৃতের সংখ্যাও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। বেড পাওয়া যাচ্ছে না বহু হাসপাতালে।
রোগী সামলাতে সামলাতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছেন চিকিৎসকেরা। শুধু চিনই নয়। জানা গিয়েছে, জাপান, আমেরিকা, কোরিয়া, ব্রাজিলেও আচমকাই করোনা সংক্রমণ চোখে পড়েছে।
বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে ভারতের সমস্ত রাজ্যকে ইতিমধ্যেই নির্দিষ্ট নির্দেশিকা পাঠিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র।