পারিজাত মোল্লাঃ অতীতে সাড়া জাগানো কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে নয়া মোড় দেখা গেল। উক্ত মামলায় মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা মকুবের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে সাজাপ্রাপ্তরা। জানা গেছে, সাজা প্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছে ৬ জন। সোমবার এদের আবেদন গ্রহণ করে আসন্ন ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে এই মামলার শুনানির সময় ধার্য করেছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।
আদালত সূত্রে প্রকাশ, কামদুনি ঘটনার তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল নিম্ন আদালত। আর চারজন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল নগর দায়রা আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সাইফুল মোল্লা মৃত্যুদণ্ডের আসামি। সাইফুল-সহ বাকি সাজাপ্রাপ্তরা সাজা মকুবের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। নিম্ন আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারা মামলা করেছে কলকাতা হাইকোর্টে। দাখিল পিটিশনে কামদুনি গণধর্ষণ কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনে সাজা মকুবের আর্জি রাখা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।
এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে এই পিটিশনের শুনানি চলে। আসন্ন ডিসেম্বরে এই মামলার শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কামদুনি গণধর্ষণ-কাণ্ডে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল আনসার আলি, সাইফুল মোল্লা ও আমিন আলিকে। আর ইমানুল ইসলাম, ভোলা নস্কর, আমিনুর ইসলাম ও গোপাল নস্করকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছিল দুজনকে।
এদের মধ্যে একজন (গোপাল নস্কর) সাজা প্রাপ্ত মারা গেছেন। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে ছিলেন আইনজীবী নেগিভ আহমেদ, নির্যাতিতার পরিবারের তরফে ছিলেন আইনজীবী জয়ন্তনারায়ণ চট্টোপাধ্যায় এবং আসামি পক্ষের আইনজীবী হিসাবে ছিলেন ওয়াই জে দস্তুর, ফিরোজ এডুলজি প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত ২০১৩ সালের ৭ জুন কলেজ ফেরত এক ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে কামদুনিতে।