পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মহারাষ্ট্রের পর চূড়ান্ত নাটক এবার মরুরাজ্য। একদিকে শিয়রে কংগ্রেসের সভাপতির পদ অন্যদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ এই দুই নিয়ে টালমাটাল মরুরাজ্যের রাজ্য-রাজনীতি।
ইতিমধ্যেই স্পিকারের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন ৮২ জন বিধায়ক। এরা সকলেই অশোক গেহলটের অনুগামী বলেই পরিচিত। এদিনে শচীন পাইলটকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানতে রাজি নয় তারা। এই নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে চূড়ান্ত ডামাডোল শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে এক পদ নীতি মেনে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে নিজেই সরে দাঁড়াতে চেয়ে ইস্তফা দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
এদিকে এদিন সন্ধ্যায় কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়গে ও অজয় মাকেন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে অশোক গেহলটের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন। অজয় মাকেন জানিয়েছেন, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধি নির্দেশ দিয়েছেন প্রতি কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলতে।
এদিকে রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং কাচারিয়াস ও শান্তি ধারিওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে অজয় মাকেন ও মল্লিকার্জুন খাড়গের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
২০২০ সালে রাজস্থান কংগ্রেসে বিদ্রোহের পর উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়েছিলেন শচীন পাইলট। তবে, কংগ্রেস ছাড়েননি। দু’বছরের মাথায় সেই পাইটলকেই মুখ্যমন্ত্রী করতে চাইছেন কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব। আর তাতেই আপত্তি, বিদ্রোহ।
এমনকী গেহলট অনুগামীদের প্রশ্ন কংগ্রেসের নির্বাচিত হওয়া আগে কেন মুখ্যমন্ত্রীত্ব ছাড়তে হবে অশোক গেহলটকে। এই পিছনে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছেন গেহলট পন্থীরা।
এদিকে কংগ্রেসের সভাপতি পদের জন্য গেহলট ও শশী থারুরের মধ্যে জোর টক্কর হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলেই মত ছিল রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। ৩০ তারিখ পর্যন্ত চলবে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের মনোনয়ন পর্ব। এদিকে এই ডামাডোলের রাজনীতিতে ইতিমধ্যেই মনোনয়ন তুলেছেন বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা শশী থারুর। সব মিলিয়ে সরগরম মরুরাজ্যের রাজ্য-রাজনীতি।