পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মাদক-মামলায় শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খানকে ক্লিনচিট দিল এনসিবি। আরিয়ান মামলায় ৬ হাজার পাতার চার্জশিট নথিভুক্ত করেছে এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো)। আজ আদালতে এনসিবি সেই চার্জশিট পেশ করবে বলে খবর। আরিয়ান সহ ৬ জনের নাম সেই চার্জশিটে নেই।
প্রসঙ্গত, প্রমোদতরী থেকে গত ৩ অক্টোবর শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সরগরম হয় রাজ্য-রাজনীতি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেন এনসিবি আঞ্চলিক প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে। এর পরেই একের পর এক অভিযোগ আসতে শুরু করে এনসিবি প্রধানের বিরুদ্ধে। যার ফলে চাপে পড়েন সমীর ওয়াংখেড়ে। এমনকী তাঁর পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে সোচ্চার হন তাঁর স্ত্রী ক্রান্তি।
আরিয়ান কাণ্ডে প্রভাকর সেল, সুধা দ্বিবেদী, কনিষ্ক জৈন এবং নীতিন দেশমুখ, আইআরএস অফিসার সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে ‘ঘুষের’ চারটি পৃথক অভিযোগ দায়ের করেন। এখানেই শেষ নয়। আরিয়ানের বিরুদ্ধে সাক্ষী জোগাড় করতে প্রায় ২৫ কোটি টাকার বিনিময় হয়েছে বলে দাবি করেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
মাদক মামলায় আরিয়ানের গ্রেফতারির পর থেকে এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করছেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক। সমীরের পেশাগত সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কখনও আবার দাবি করেছেন, সমীর আদতে মুসলিম। নিকাহনামাও প্রকাশ করেছে নবাব। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন সমীর ওয়াংখেড়ে।
সময় যত এগিয়েছে, আরিয়ান কাণ্ডে একের পর এক বিড়ম্বনায় জড়িয়েছেন সমীর। দলিত সংগঠনগুলির অভিযোগ, চাকরি পাওয়ার জন্য সমীর ওয়াংখেড়ে নিজেকে তপশিলি জাতিভুক্ত বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। জাল নথিপত্র পেশ করে সংরক্ষণের সুবিধা নিয়েছিলেন।
এদিকে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের আরও অভিযোগ, আরিয়ানের গ্রেফতারের দিন সমীরের এক বন্ধুও নাকি ছিলেন প্রমোদতরীতে। তিনি আন্তর্জাতিক ড্রাগ মাফিয়া। সেই বন্ধুকে হাতে বন্দুক নিয়ে তার গার্লফ্রেন্ডকে সঙ্গে নিয়ে পার্টিতে নাচতেও দেখা গিয়েছিল। কিন্তু সব জেনেশুনেও সেই বন্ধুকে গ্রেফতার করেননি সমীর ওয়াংখেড়ে।
গত ২ এপ্রিল আরিয়ান খানের বিরুদ্ধে এনসিবি মামলায় অন্যতম সাক্ষী প্রভাকর সেলের মৃত্যুর খবর মেলে। পূর্ব মুম্বইয়ের চেম্বুরের মহুল অঞ্চলে নিজের বাড়িতেই তাঁর মৃত্যু হয়। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানায় আইনজীবী তুষার খাণ্ডারে।