পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জলের আকালে তীব্র সংকটে বেঙ্গালুরু। ফলে সিলিকন ভ্যালি বেঙ্গালুরুতে ফের ফিরছে ওয়ার্ক ফর হোমের কালচার। পানীয় জলের জন্য রীতিমতো হাহাকার পড়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। মলের বাথরুমের এসে শৌচকর্ম থেকে স্নান সারতে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা। রেস্তোরাঁ থেকে খাবার এনে খেতে হচ্ছে, জল সংরক্ষণে একদিন ছাড়া একদিন স্নান করছে মানুষ।
তবে আশ্চর্য্যের বিষয় যে বেঙ্গালুরু বর্তমানে জলসংকটে ভুগছে, সেই বেঙ্গালুরুই এক সময় ‘সিটি অফ লেকস’ নামে পরিচিত ছিল। এক সময়ে শহরে প্রায় ২৮৫টি হ্রদ ছিল। তবে প্রাকৃতিক হ্রদের পাশাপাশি বেঙ্গালুরু প্রতিষ্ঠিতা কেম্পে গৌড়ার নির্দেশে অনেকগুলি জলাধার নির্মিত হয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেঙ্গালুরুতে প্রায় ৩০০টি হ্রদ ছিল, তার অনেক গুলি বর্তমানে ‘রাজ্যের উন্নয়নের’ কারণে বুঝে গিয়েছে। ভূগর্ভস্থ জলস্তর কমে যাওয়ার পাশাপাশি, বেঙ্গালুরুর জল সরবরাহের ব্যবস্থাও এই পরিস্থিতির জন্য অনেকটাই দায়ী। প্রায় তিন হাজার নলকূপের জল শুকিয়ে গেছে। সংকট মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপ মুখ্যমন্ত্রী ডি কে শিবকুমার, মন্ত্রী ও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সংকটের সঙ্গে মোকাবিলায় কর্নাটক সরকার মোট ২১০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। যার মধ্যে ৭০ কোটি টাকা নতুন কূপ খননের জন্য। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমে আরও জল সংকটের মুখে পড়বে বেঙ্গালুরু। সরকারের তরফে পানীয় জল একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খাবারের দোকানগুলিও জলের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়াতে ডিসপোজেবল কাপ, গ্লাস, প্লেট ব্যবহার নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। ভুক্তভোগী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। সম্প্রতি, শহরের একটি কোচিং সেন্টার তার ছাত্রদের এক সপ্তাহের জন্য ‘জরুরি’ কারণে অনলাইনে ক্লাসে যোগ দিতে বলেছে। একইভাবে ব্যানারঘাটা রোডের একটি স্কুল তাদের শিক্ষার্থীদের করোনার সময়ের মতো অনলাইন ক্লাস করার নির্দেশ দিয়েছে।