নয়াদিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর: দেশে মুসলিমদের বিরুদ্ধে লাগাতার বিদ্বেষ-প্রপাগান্ডা ছড়ানো, নির্যাতনের ঘটনা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ করা যাচ্ছে, মুসলিমদের পাশাপাশি খ্রিস্টান সংখ্যালঘুরাও একশ্রেণীর উগ্রবাদী মানুষের নিশানায় পরিণত হচ্ছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর বিশ্ব ও দেশজুড়ে সংখ্যালঘু অধিকার দিবস পালিত হবে। তার আগে প্রকাশ্যে এলো দেশে খ্রিস্টান নির্যাতনের ভয়াবহ চিত্র। দিল্লিভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন ইউনাইটেড খ্রিস্টান ফোরাম (ইউসিএফ) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে দেশে গড়ে প্রতিদিন দুটি করে হিংসার ঘটনা ঘটে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে। ২০২৩ সালের শেষ ৩৩৪ দিনে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে ৬৮৭টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৩১টি ঘটনা উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে ঘটেছে। ২০২২ সালে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে দেশে ৫৯৯টি জুলুমের ঘটনার রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছিল। এ বছর সেটা বেড়ে ৬৮৭টি হয়েছে। অবশ্য এখনও বছর শেষ হয়নি। তাছাড়া খ্রিস্টান নির্যাতনের সমস্ত ঘটনা যে রিপোর্ট হয়েছে, সেটাও বলা যাবে না।
ইউসিএফ-এর তথ্য অনুযায়ী দেশে খ্রিস্টান নির্যাতনের ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। ২০১৪ সালে ১৪৭, ২০১৫-তে ১৭৭, ২০১৬-তে ২০৮, ২০১৭-তে ২৪০, ২০১৮-তে ২৯২, ২০১৯-এ ৩২৮, ২০২০-তে ২৭৯, ২০২১-এ ৫০৫টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে। ইউনাইটেড খ্রিস্টান ফোরামের মত, দেশে খ্রিস্টানদেরকে টার্গেট করে হিংসার ঘটনা এই কয়েক বছরে মারাত্মক হারে বেড়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকেই নির্যাতনের ঘটনা বেড়েছে। এই বছরই দেশে মোদির নেতৃত্বে বিজেপির সরকার তৈরি হয়। তাহলে কি বিজেপি ক্ষমতায় আসার কারণেই সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের ঘটনা বেড়ে গিয়েছে, উঠছে প্রশ্ন। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রীর ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’-এর সাফল্য কোনখানে!