পুবের কলম প্রতিবেদক: শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে মিলন মেলা প্রাঙ্গণে মুখ্যমন্ত্রী হাত থেকে ৪৫ জন পড়ুয়া পুরস্কার গ্রহণ করলেন। এই ৪৫ জনের মধ্যে চলতি বছরে হাইমাদ্রাসা আলিম এবং ফাজিলের শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন। এবছর মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিকে শীর্ষস্থান অধিকারি ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পুরস্কার দেওয়া হয়। এদিন মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের হাতে ১৫ রকমের সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।
তার মধ্যে রয়েছে ল্যাপটপ, বই, মিষ্টি, সার্টিফিকেট, চকলেট সহ নানান সামগ্রী। মুখ্যমন্ত্রী মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে এদিন আলাদাভাবে কিছুক্ষণ সময় দেন। তাতে বেশ খুশি ছাত্রছাত্রীরা। এই ৪৫ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে সব থেকে বেশিছিল মালদা এবং মুর্শিদাবাদের। দুই জেলা থেকে ২০ জন পড়ুয়া এসেছিল। বাকি পড়ুয়ারা বিভিন্ন জেলা থেকে। এদিন অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের মাধ্যমে ৪০ জন মাদ্রাসা পড়ুয়াকে পুরস্কৃত করা হয়।
পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের অধীনে থাকা বিভিন্ন মাদ্রাসার শীর্ষস্থান অধিকারী পড়ুয়াদের মাদ্রাসার শিক্ষাপর্ষদ জেলা থেকে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করে। গত রবিবারে এই সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা কলকাতায় পৌঁছে যায় বলে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ড. আবু তাহের কমরুদ্দিন জানান। এদিন তিনি বলেন, রবিবার রাতে তাঁদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। সোমবার প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে বোর্ডের উদ্যোগেই মিলন মেলা প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। তাদের প্রত্যেককেই নিজ নিজ জেলায় পৌঁছে দেওয়ারও ব্যবস্থা করেছেন। বোর্ড প্রেসিডেন্ট নিজেই দাঁড়িয়ে থেকে তাদের ঘরে পৌঁছনোর জন্য ব্যবস্থা করেছেন।
মাদ্রাসা পড়ুয়াদের সংবর্ধনায় মিলন মেলায় উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু দফতরের প্রধান সচিব গোলাম আলি আনসারি।
মাদ্রাসা বোর্ড প্রেসিডেন্ট তথা আলিয়ার উপাচার্য ড. আবু তাহের কমরুদ্দিন, ডিএমই আবিদ হোসেন, বোর্ডের সচিব আবদুল মান্নাফ, উপসচিব ড.আজিজার রহমান, বোর্ড সদস্য একেএম ফারহাদ প্রমুখ।