পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ ফুল। নাম রাফলেসিয়া। এই ফুল দেখা যায় ইন্দোনেশিয়ার অরণ্যে। এর আগে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রায় রাফলেসিয়া পাওয়া গিয়েছিল।
মন ও শারীরিক অবসাদে শরীর যখন ভারাক্রান্ত তখন অরণ্যে ভ্রমণ সেই ক্লান্তি দূরে সরিয়ে দিতে পারে। সেই রকমই এক প্রশান্তি পেতে অরণ্যে ভ্রমণ করতে গিয়ে এই বৃহৎ ফুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এক ব্যক্তির। অরণ্যে ভ্রমণের সময় এই বৃহৎ আকারের ফুল রাফলেসিয়ার উপর হোঁচট খেয়ে পড়ে যান তিনি। ইন্দোনেশিয়ার গভীর অরণ্যে রাফলেসিয়া দেখা যায়।
A man came across this rare flower while walking through an Indonesian forest. The rafflesia arnoldii is the largest flower in the world & only blooms for a couple of days. It is colloquially known as a corpse flower for the overpoweringly stinky odor it emits while mid-bloom. pic.twitter.com/LJmJDgfpqd
— NowThis (@nowthisnews) September 28, 2022
curtsy twitter
রাফলেসিয়া আর্নল্ডি রূপের দিক দিয়ে যতই সুন্দর হোক না কেন, অতি কটূ গন্ধ যুক্ত এই ফুল। তার জন্যই এই ফুল বেশি জনপ্রিয়। রাফলেসিয়া মাত্র এক সপ্তাহ থাকে। তারপর নষ্ট হয়ে যায়। আর যাঁরা এই ফুলের কাছাকাছি গিয়েছেন, তাঁরা জানিয়েছেন এই ফুল থেকে বের হওয়া গন্ধ ঠিক পচা মাংসের মতো।
প্রায় ৩ ফুট জুড়ে রয়েছে এই ফুলের ব্যাপ্তি। আর এই ফুলের ওজন ১৫ পাউন্ড।
ট্যুইটারে শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাফলেসিয়া এক বিশাল প্রান্তর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আছে। ফুলটি লাল রংয়ের। ফুলের পাপড়িতে লালের উপর ছোট ছোট সাদা দাগ দেখা যায়। বিশাল আকারের পাপড়ি মেলে এই ফুল প্রস্ফূটিত হয়ে অরণ্যের প্রান্তরে এই ফুল ফুটে আছে।
রাফলেসিয়া বিশ্বের বিরলতম ফুল বলেই চিহ্নিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম রাফলেসিয়া আর্নল্ডি। তবে মানুষের মধ্যে এই ফুল নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই। সমস্ত পাপড়ি মেলে এই ফুল ফুটতে মোট চারদিন সময় নেয়।
এক ব্রিটিশ উপনিবেশ অফিসার স্যার স্যামফোর্ড র্যাফ্লেসের নামে এই ফুলের নামকরণ হয়। ঊনিশ শতকে তিনিই প্রথম ইন্দোনেশিয়া এই ফুলের সন্ধান দেন।
পৃথিবীতে এখনও পর্যন্ত রাফলেসিয়া ২৮টি ভেরিফায়েড ও চারটি আনভেরিফায়েড প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। ২৮টির মধ্যে একটি প্রজাতি হল ‘রাফলেসিয়া টুয়ান-মুডায়’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ফুলের ভিডিও পোস্ট হতেই মানুষের মধ্যে কৌতূহল উপচে পড়েছে। একজন নেটিজেনের বক্তব্য, এটি এক আশ্চর্য জিনিস। অপর এক নেটিজেন লিখেছেন, এটি মনে হচ্ছে ভিনগ্রহের বাইরে কিছু।