পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কূটনৈতিক সম্পর্ক ও সীমান্তগত পরিস্থিতির কথা বলে নিজামুদ্দিন মার্কাযের উপর বিধিনিষেধ জারি রাখার সিদ্ধান্তকে সোমবার ন্যায়সঙ্গত বলল কেন্দ্রীয় সরকার। এক বছরেরও বেশি সময় আগে তবলিগি জামাত সদস্যদের কয়েকজনের করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর মসজিদের প্রবেশপথ বন্ধ রাখা হয়েছিল। মার্কাযের উপর থেকে এই বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়ে পিটিশন দায়ের করেছিল দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড। তার উত্তরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক জানিয়েছে, ১৩০০ বিদেশি ওই মসজিদে যেহেতু অবস্থান করছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও রয়েছে ও অন্য দেশের সঙ্গে ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের দিকটিও এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাই ওই মসজিদ চত্বর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩১০ ধারায় বন্ধ প্রয়োজন। কোনও জায়গায় অপরাধ সংঘটিত হলে কোনও বিচারপতি বা ম্যাজিস্ট্রেটকে সেই জায়গায় তদন্ত করার অধিকার দেয় এই ৩১০ ধারা। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে যে, গত বছর রুজু হওয়া মামলায় যেহেতু এই মার্কাযের পরিচালকরা অভিযুক্ত তাই সেদিকে দৃষ্টি রেখে মার্কায চত্বর তালাচাবি দিয়ে রাখা হয়েছে।
দিল্লি ওয়াকফ বোর্ড চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পিটিশন দায়ের করে জানায় যে, মসজিদ বাংলে ওয়ালি, মাদ্রাসা কাশিফ-উল-উলুম ও সংলগ্ন বস্তি হজরত নিজামুদ্দিনে অবস্থিত হোস্টেলে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে তালা দিয়ে রাখা হয়েছে এবং সাধারণ মানুষকে মসজিদে নামায পড়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা মাদ্রাসায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না। শিক্ষার্থী সহ প্রধান ইমাম ও তাঁর পরিবারের কাউকে এই হোস্টেলে থাকার অনুমতি দেয়নি সরকার। স্থানীয়দের মধ্য থেকে ৫-৬ জনের একটি তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ, তাঁরাই কেবলমাত্র মসজিদে নামায পড়ার অনুমতি পেয়েছেন। নামাজের সময় পুলিশই মূল প্রবেশপথের তালা খুলে দেয় এবং নামাজ শেষ হলে তালা দিয়ে দেয় পুলিশই। এমনটাই জানানো হয়েছে পিটিশনে। বিচারপতি গুপ্তা আগে বলেছিলেন যে, দিল্লিতে ধর্মীয় স্থান বন্ধের আদেশ দেয়নি ডিডিএমএ।