পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হৈ-হৈ করে লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এই বিল পাশ করানোর সমস্ত গরিমা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। কিন্তু সেই মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকারের অন্দরেই বেসুরো মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। কারণ মহিলা সংরক্ষণ বিলে ওবিসি কোটার দাবি তুলেছেন উমা। নেত্রীর এই কর্মকাণ্ডে বেজায় চটেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। খুব শীঘ্রই তাঁকে পরামর্শ দিতে পারে কেন্দ্র।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভোপাল সফর ছিল। প্রধানমন্ত্রী আসার আগে উমা ট্যুইট করে মহিলা সংরক্ষণ বিলে ওবিসি কোটা নিয়ে বিতর্ক আরও উসকে দেন। উমা লেখেন, দীনদয়াল উপাধ্যায় দ্বারা উকিল অন্ত্যোদয়ের নীতির কথা মাথায় রেখে, তিনি ওবিসি, এসসি এবং এসটি জন্য কোটার কথা বলেছিলেন। উমা আরও লেখেন, ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি ওবিসি কোটার জন্য দাবি করে আসছেন। কংগ্রেসে কাছে এই বিল ভণ্ডামি হতে পারে, তবে বিগত ২৭ বছর ধরে তিনি ওবিসি কোটার দাবিতে সরব আছেন’। ফলে উমার এই ওবিসি কোটার দাবি গেরুয়া শিবিরকে এক প্রশ্নচিহ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে, মোদি অবশ্য ইঙ্গিত দিয়েছেন যে মহিলা সংরক্ষণ বিলে কোনও সংশোধনী হবে না। পাশাপাশি মহিলা সংরক্ষণ বিলে ত্রুটি খোঁজার জন্য কংগ্রেসকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মোদি।
উল্লেখ্য, লোকসভা ও রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে ‘মহিলা সংরক্ষণ বিল’। ‘রাজনৈতিক মাইলেজ’ পেতে তড়িঘড়ি বিল পাশ হলেও তা কবে আইনে পরিণত হবে সেটা নিয়ে কার্যত দিশাহীন কেন্দ্রীয় শাসকদল। একাংশের মন্তব্য, ২০২৯ সালের আগে বাস্তবায়ন হবে না এই বিল, কেউ বলছে ২০৩৪-এর আগে। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে প্রথম থেকেই একাধিক ভুল-ত্রুটি সামনে এনে সরব উমা ভারতী। উমা বলেন, বিলে তফসিলি জাতি ও উপজাতিভুক্ত মহিলাদের জন্য পৃথক আসন সংরক্ষণের কথা বলা হয়েছে। অথচ উল্লেখ নেই ওবিসি’দের কথা। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।