পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শুক্রবার ভোট ছিল মধ্যপ্রদেশে। এদিনও নির্বাচন বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখালেন বিজেপি নেতা নরোত্তম মিশ্র। শুক্রবার সকালে তিনি বলেন, বিজেপি ছাড়া অন্য কাউকে যদি আপনারা ভোটে জেতান তাহলে পাকিস্তানে উদ্যাপন শুরু হয়ে যাবে। ভোটের দিন সকালে নরোত্তম বলেন, দেশকে বাঁচাতে বিজেপিকে ভোট দিন। বিজেপিকে ভোট দিলে শক্তিশালী হবে দেশের সেনা। সুরক্ষিত থাকবে দেশের সীমান্ত। তাই দেশকে সুরক্ষিত রাখতে চাইলে আপনারা ইভিএম–র পদ্মচিহ্নে ভোট দিন। বিজেপিকে ভোট দিলে আপনারা পাবেন করোনা ভ্যাকসিন, ফ্রি রেশন,দেশের নিরাপত্তা, বন্দেভারত ট্রেন ও আবাসনের মত নানা পরিষেবা। ভোটের দিন সকালে এমন প্রচার করলেন তিনি।
এই প্রথমবার নয়, বিজেপির বিদ্বেষ রাজনীতির পালে হাওয়া টানতে নরোত্তম মিশ্র বহুবার এমন মন্তব্য করেছেন। কোনওবারই তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়নি। এদিন নরোত্তমের এমন মন্তব্যের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি করেছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিং। তিনি বলেন, নরত্তম মিশ্র উস্কানিমূলক কথা বলেছেন, তাঁকে অবিলম্বে নোটিশ ধরাক নির্বাচন কমশিন অব ইন্ডিয়া। তিনি আরও বলেন, নরোত্তম মিশ্রের বিরুদ্ধে নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তার তো এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনও অধিকারই নেই। যেহেতু এমন মন্তব্য করে প্রতিবার উনি পার পেয়ে যান, তাই এমন উস্কানিমূলক মন্তব্য করাকে তিনি অভ্যাসে পরিণত করেছেন।
এদিন নরোত্তম মিশ্র যা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বছর ছয়েক আগে তেমন কথা বলেছিলেন। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের মন্ত্রিসভার ‘নাম্বার টু’ নরোত্তমের বিরুদ্ধে আগেও বিরোধীদের নিশানা করে ‘কুকথা’র অভিযোগ উঠেছে। এ বার ভোটগ্রহণ চলাকালীন তাঁর মন্তব্যে ‘নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে’ বলে অভিযোগ উঠেছে। কংগ্রেসের দাবি, মধ্যপ্রদেশে বিজেপির পরাজয়ের আঁচ পেয়েই হতাশা থেকে এমন মন্তব্য করেছেন নরোত্তম।
২০১৫ তে বিহারে ভোট প্রচারে গিয়ে অমিত শাহও নরোত্তমের মতই মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন বিহারে বিজেপি হারলে বাজি ফাটবে পাকিস্তানে। বিজেপিকে ভোট দেওয়া এবং জয়ী করাকে দেশভক্তির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। আমিত শাহ বলেছিলেন, ‘‘বিহারের নির্বাচনে কোনওভাবে যদি বিজেপি হেরে যায়, তাহলে হারজিত ভারতের মাটিতে হওয়া সত্ত্বেও, উৎসবের বাজি পুড়বে পাকিস্তানে।’’