পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: কূটনীতির লড়াইয়ে একধাপ এগিয়ে গেল ভারত। ভারতের চাপের কাছে নতি স্বীকার কানাডার। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের কড়া নির্দেশ ছিল দূতাবাস কর্মী ও কূটনীতিক সংখ্যা কমাতে হবে কানাডাকে। কোনও যুক্তি না দেখিয়ে সেই নির্দেশ মোতাবেক শুক্রবার কানাডা তাদের কূটনীতিকদের সরিয়ে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে পাঠিয়ে দিল। ভারতের পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল ১০ অক্টোবর। তার ৪ দিন আগেই ভারতে নিযুক্ত কূটনীতিক সরিয়ে নিল কানাডা সরকার। কানাডার টেলিভিশন নেটওয়ার্ক সিটিভি নিউজ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দূতাবাস কর্মী কম করার কথা বলা হয়েছিল। নিজ্জর সিং হত্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছিলেন, ভারতের এজেন্টের হাত রয়েছে এই হত্যায়, আর তারপর থেকেই শুরু হয় দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক উত্তেজনা। কয়েক ডজন কূটনীতককে সরিয়ে নিল কানাডা। ১০ অক্টোবর সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল কানাডায় ভারতের কূটনীতিকদের সংখ্যা এত বেশি নয়। কানাডাকে কূটনীতিক কমিয়ে ফেলতে হবে। যদিও ভারত নিজ্জর হত্যায় ভারতীয় এজেন্টদের হাত থাকার দাবি উড়িয়ে দিয়ে বলেছে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিক সরিয়ে নেওয়ার কথা ছিল। এইসব কূটনীতিক দিল্লির বাইরে কাজ করছিলেন। তবে কানাডার টিভি জানিয়েছে, ভারতের চাপের জন্য এই সিদ্ধান্ত নয়। অনেকে হুমকি পাচ্ছিলেন সেজন্য সরিয়ে আনা হয়েছে নিরাপত্তার জন্য। তবে ভারতের মিডিয়া জানাচ্ছে কানাডার বেশ কয়েকজন কূটনীতিক নয়াদিল্লির আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর চেষ্টা করছিলেন। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি জানিয়েছেন, আমাদের মধ্যে আলোচনা চলছে কতজন কূটনীতিক রাখা হবে সেটা উভয় দেশ আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত নেবে। এক সূত্র জানায় কানাডার ৬০ জন কূটনীতিক ভারতে নিযুক্ত ছিলেন। তারমধ্যে থেকে ৪০ জনকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।