মোল্লা জসিমউদ্দিন: মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে উঠে নিয়োগ দুর্নীতি মামলা। সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে নিয়োগ অভিযোগ নিয়েই একটি চিঠি পৌঁছয় সিআইডি-র হাতে। সেই চিঠিতে একাধিক শাসক দলের নেতার নামও ছিল। এবার সেই বেনামি চিঠির প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভার গেল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই-এর হাতে। এদিন সেই বেআইনি চিঠির মামলায় সিবিআই-এর অনুসন্ধানের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিত বসু।আদালতের নির্দেশ, -‘সিবিআই-এর সিট এই অনুসন্ধান করবে’। হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ মনে করছে -‘ এই চিঠিতে যে সমস্ত তথ্য রয়েছে, তার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে’। তাই সিবিআই-কে তৎপরতার সঙ্গে অনুসন্ধান করতে হবে বলে উল্লেখ করেছেন বিচারপতি। এর পাশাপাশি বিধাননগর উত্তর থানার আইসি-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,-‘ কেন তিনি এফআইআর নেননি? সে বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতে হবে’।আগামী ২৫ এপ্রিল এ বিষয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। একইসঙ্গে জিটিএকেও ওই দিন রিপোর্ট দিতে হবে। জিটিএ-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পাহাড়ে যতজনের চাকরি পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে, -‘তারা কীভাবে, কোন প্রক্রিয়ায়? কার অনুরোধে চাকরি পেয়েছে? তাঁদের যোগ্যতা কী আছে?তার তথ্য জিটিএ-কে হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে। বিচারপতি বসু এদিন আরও বলেন, ‘মনে হচ্ছে পুলিশ কাউকে আড়াল করার চেষ্টা করছে’।’ প্রসঙ্গত, গোথা হাইস্কুলের শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন সামনে আসে ওই চিঠি। সিআইডি-র হাতে আসে এক সরকারি আধিকারিকের চিঠি। খামে ভরে সেই চিঠি জমা দেওয়া হয় আদালতে। অভিযোগ ,-‘ জিটিএ এলাকায় অর্থাৎ পাহাড়ে ৩২৩ জন শিক্ষকের নিয়োগে বেনিয়ম হয়েছে। সেই চিঠিতেই নেতাদের নামও রয়েছে ‘।এখন দেখার সিবিআই এই মামলার অনুসন্ধানে কি খুঁজে পায়?