রায়পুরঃ যেহেতু ছত্তিশগড় কংগ্রেস–শাসিত রাজ্য তাই কেন্দ্রীয় সরকার ভাতে মারার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাগেল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই ভূপেশ বাগেল অভিযোগ করলেন, কেন্দ্র বিভিন্ন খাতে ১৩ হাজার কোটি টাকা রাজ্যকে না দিয়ে আটকে রেখেছে। কয়লা ক্ষতিপূরণ হিসেবে কেন্দ্রের ছত্তিশগড়কে ৪০০০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা। এটা সুপ্রিম কোর্ট বলেছে। তবু কেন্দ্র দেয়নি। কেন্দ্র আমাদের জিএসটির ক্ষতিপূরণ না দিয়ে ঋণ নিতে প্রলুব্ধ করছে।পরে প্রচার করবে, দেখো ছত্তিশগড় কত টাকা ঋণ নিয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে তি্নি জানালেন, ছত্তিশগড় সমস্ত গোবর ২ টাকা কেজি দরে কিনে নিয়ে তা থেকে সার তৈরি করছে। গত অর্থবর্ষে প্রায় ১১৬ কোটি টাকার গোবর কিনেছে রাজ্য সরকার। এছাড়া রাজ্যজুড়ে ৮০০০ গোশালা তৈরি করা হয়েছে গবাদি পশু রাখার জন্য। গোবর থেকে বিদ্যুৎ তৈরির ব্যবস্থাও করা হয়েছে।ভাবা পরমাণু গবেষণাকেন্দ্রের সঙ্গে কথাও বলেছি আমরা। গোবর থেকে প্রদীপ, ফুলদানি, মূর্তি তৈরিও করা হচ্ছে।মুখ্যমন্ত্রীর কথা থেকেই স্পষ্ট, কংগ্রেস–শাসিত ছত্তিশগড়ও গো–রক্ষা আন্দোলনে সামিল হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ছত্তিশগড় হচ্ছে ধান উৎপাদনের বড় রাজ্য। অআমরা কৃষকদের কাছ থেকে যে দরে ধান কিনি কেউ কেনে না। কুইন্টালপিছু ২৫০০টাকা দর দেওয়া হচ্ছে। একর পিছু কৃষকদের ৯০০০ টাকা করে এক বছরে মোট ৫৭০০ কোটি টাকা দিয়েছি। উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত ভুল পথে চলছে। আমরা গান্ধির গ্রাম স্বরাজের নীতি নিয়ে চলে গ্রামকে উন্নত করছি।কৃষকদের কেনার ক্ষমতা না থাকলে অর্থনীতি চলবে কী করে? তাই আমাদের সরকার ২২ লক্ষ কৃষকের পকেটে এবং ১৩ লক্ষ বনবাসীর পকেটে টাকা দিয়েছি। ভূমিহীন গরিবদের বছরে ৬০০০ টাকা করে দিচ্ছি। গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ উল্টে কৃষকদের পিষে মারছে। ভূপেশ বলেন, যে যাই মনে করুন, কংগ্রেসের প্রতি রাজ্যে বুথভিত্তিক সংগঠন রয়েছে।সেই কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি–বিরোধী কোনও জোট হতে পারে না।