পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: পদত্যাগ করলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ব্রিটিশ সরকারের পতন।
ব্রিটিশ সরকারের একের পর এক মন্ত্রীর পদত্যাগ ক্রমশই চাপ বাড়িয়ে তুলছিল। সাজিদ জাভিদ এবং রিশি সুনাকসহ মঙ্গলবার থেকে সরকারের অন্তত ৩৮ জন মন্ত্রী ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছেন। অব্যাহত বিদ্রোহের মুখে বরিস জনসন নেহাতই নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ছিলেন বলে খবর। তবে বিরোধীদের চাপের মুখেও সরকার চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে অনড় ছিলেন তিনি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে পদত্যাগ করতে বলার পর বরখাস্ত করা হয় ব্রিটিশ মন্ত্রী মাইকেল গোভকে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ স্ট্রাসসহ ক্যাবিনেট সদস্যদের বেশিরভাগই বুধবার পর্যন্ত তার নেতৃত্বে আস্থা প্রকাশ করে এসেছেন।
তবে শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করলেন বরিস জনসন।
‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারির পাশাপাশি করোনাভাইরাস মহামারির সময় লকডাউনের বিধি ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি আয়োজনের খবর প্রকাশ পেলে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েন বরিসন জনসন। সরকারি কর্মকর্তা স্যু গ্রের নেতৃত্বে ওই ঘটনার তদন্ত হয়।
জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে পদত্যাগ করা উচিত বলে সরব হয় নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী উইল কুইন্স, বিচারমন্ত্রী ভিক্টর অ্যাটকিন্স, সংস্কৃতিমন্ত্রী জুলিয়া লোপেজ, ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রী লি রাউলি, শিক্ষামন্ত্রী অ্যালেক্স বার্গার্ট, আবাসনমন্ত্রী স্টুয়ার্ট অ্যান্ড্রু, সলিসিটর জেনারেল অ্যালেক্স চাকসহ আরও বেশ কয়েকজন।
মন্ত্রিপরিষদের সহযোগী পদমর্যাদার লরা ট্রট, জোনাথন গুলিস, সাকিব ভাট্টি, নিকোলা রিচার্ডস এবং আরও কয়েকজন পদ ছেড়েছেন।