পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ অবশেষে দীর্ঘ জল্পনা অবসান ঘটিয়ে, সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা বাবুল সুপ্রিয়’র (Babul Supiya)। লোকসভা স্পিকারের কাছে ইস্তফা। মঙ্গলবার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তিনি।
কিছুদিন আগেই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের যোগদান করেন বাবুল সুপ্রিয়। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফার দিনক্ষণ নিয়ে দীর্ঘদিন টালবাহানা চলছি।
মঙ্গলবার সকালে দিল্লিতে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে ইস্তফাপত্র জমা দেন বাবুল সুপ্রিয়। সকাল ১১টা নাগাদ ওম বিড়লার বাড়িতে যান বাবুল। সেখানে সৌজন্য বিনিময়ের পরেই অধ্যক্ষের হাতে ইস্তফাপত্র তুলে দেন তৃণমূল নেতা বাবুল সুপ্রিয়। এক সময় রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘আলবিদা’ বলে পোস্ট করেন। তখন থেকেই তাকে ঘিরে জল্পনা বাঁধতে শুরু করে। এর পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরেই সাংসদ পদ ছাড়বেন বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
শেষমেশ মঙ্গলবার আসানসোলের সাংসদ পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফা দিলেন বাবুল সুপ্রিয়। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রায় একমাস পরে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বাবুল।
ইস্তফা দেওয়ার পর বাবুল বলেন, ‘হৃদয় ভারাক্রান্ত। আমার রাজনৈতিক জীবন শুরু বিজেপির হাত ধরে। আমি দলীয় প্রধান তথা প্রধানমন্ত্রী, ও অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানাই। আমার প্রতি আস্থা রাখার জন্য। যদি দলের অংশ না হই, তাহলে আমার নিজের জন্য আসন ধরে রাখা উচিৎ নয়।’
ওয়াকিফহাল মহলের মতে, বাবুল সুপ্রিয় আসানসোলে উপনির্বাচনে লড়বেন, নাকি এই রাজ্যে তাঁকে কোনও মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব দেওয়া হবে? এই দুই প্রশ্নই এখন ঘোরাফেরা করছে।
প্রসঙ্গত, গত আগস্ট মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। তারপর সেপ্টেম্বরের বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এর পরে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য স্পিকারের কাছে বেশ কয়েকবার আবেদন জানান। কিন্তু নানা কারণে তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বাবুল সুপ্রিয় জানিয়েছিলেন, তিনি যাদের টিকিটে নির্বাচিত, সেই দল ছেড়ে অন্য দলে গেলে পুরনো দলের সাংসদ পদ ধরে রাখা ‘অনৈতিক’ কাজ । সাংসদ পদে ইস্তফা না দেওয়ার কারণে উপনির্বাচনে তৃণমূলের তারকা প্রচারক তালিকাতেও থাকেননি তিনি। ট্যুইটে এমনই জানিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়।