পুবের কলম প্রতিবেদকঃ শুনানি থাকলেও রাজ্য বিধানসভায় শুক্রবার অনুপস্থিত বাদী-বিবাদী দু’পক্ষই। ফলে শুনানি পেছতে বাধ্য হলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার হাইকোর্টের নির্দেশে দলত্যাগ বিরোধী আইনে মুকুল রায়ের অবস্থান নিয়ে শুনানি ছিল রাজ্য বিধানসভায়। তবে এদিন যথাসময়ে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী কেউই উপস্থিত না হওয়ায় শুনানি এই দিনকার মত পিছিয়ে গেল। তবে দুই পক্ষের আইনজীবীরা এদিন বিধানসভায় এসেছিলেন। তাদের উপস্থিতিতেই আগামী ২৮ এপ্রিল বিধানসভায় স্পিকারের ঘরে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
প্রসঙ্গত– গত বছরের ১১ জুন যে সাংবাদিক বৈঠকে মুকুল রায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বলে যা বলা হচ্ছে সেটাকে প্রমাণ হিসাবে ধরতে হবে এমন নির্দেশ বিধানসভাকে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর সে ক্ষেত্রে শুনানির জন্য চার সপ্তাহের চূড়ান্ত সময়সীমা ডিভিশন বেঞ্চ বেঁধে দিয়েছিল। তবে বিধানসভার শুনানিতে মুকুল রায় বিজেপিতেই রয়েছেন বলে বারবার দাবি করেছেন তাঁর আইনজীবীরাও। এমনকি তৃণমূলে কখনই মুকুল রায় যোগ দেয়নি বলেও দাবি তাঁদের। এমনকি মুকুল রায় সব জায়গাতে নিজেকে বিজেপির বিধায়ক বলেই দাবি করেছেন। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। এমনকি অনেকেই মুকুলের এহেন বক্তব্যের জন্যে শারীরিক অসুস্থাকেই দায়ী করেছেন। এমনকি শুভ্রাংশু রায়ও একাধিকবার জানিয়েছেন– তাঁর বাবা অসুস্থ। খুব শিঘ্রই চিকিৎসার জন্যে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বিজেপি বারবার মুকুল রায়ের যোগদানের ছবি-ভিডিও সামনে এনে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছে– তিনি তৃণমূলেই রয়েছেন।
সামগ্রিকভাবে এই ধোঁয়াশা কাটাতেই ছিল শুক্রবারের শুনানি। এ দিন মুকুলের পক্ষে তাঁর আইনজীবী সায়ন্তক দাস। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুঅধিকারীর পক্ষে হাজির ছিলেন দুই আইনজীবী— বিল্বদল ভট্টাচার্য এবং সূর্যনীল দাস। একইসঙ্গে বিধায়ক অম্বিকা রায়ও এদিন উপস্থিত হন। তবে শুনানি খারিজ হওয়ায় সব পক্ষই কিছুটা হতাশ।