পুবের কলম প্রতিবেদকঃ ‘ইদানীং’ নাট্যগোষ্ঠীর আয়োজনে শনিবার বাংলা আকাদেমির জীবনানন্দ সভাঘর সাক্ষী থাকল এক মনোরম সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। গান, কবিতা, সম্মাননা প্রদানের মধ্য দিয়ে গুণী মানুষজনের মিলনক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল অনুষ্ঠানটি। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুবের কলম পত্রিকার সম্পাদক ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ আহমদ হাসান ইমরান।
এছাড়াও দৈনিক সবার খবর পত্রিকার সম্পাদক কিংশুক ভট্টাচার্য, বিশিষ্ট লেখক ও অনুবাদক বদরুদ্দোজা হারুণ, মানিক দে, ‘ইদানীং’ নাট্যগোষ্ঠীর সম্পাদক জয়ন্ত রসিক, সবিতা বেগম, অমিত মিত্র, মধুমিতা প্রমুখ বিশিষ্টজনেরা হাজির ছিলেন। ‘ইদানীং’ গোষ্ঠী নাটক, সাহিত্য, সমাজসেবা, সঙ্গীত নানা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কাজ করে থাকে। তার পরিচয় পাওয়া গেল এই আয়োজনেও। এদিনের অনুষ্ঠানটি আবর্তিত হয় বইপ্রকাশ, সম্মাননা জ্ঞাপন ও বক্তৃতা কেন্দ্র করে।
অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে আহমদ হাসান ইমরান এ ধরনের অনুষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘নানা অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে আমাদের সমাজ। সাহিত্য,সংস্কৃতিতেও সেই অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। হিন্দি ও ইংরেজির দাপটে বহু জায়গায় বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলি উঠে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলা ভাষা ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে নানামুখী চর্চার প্রয়োজন রয়েছে।’
সুস্থ ও শালীন সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চার উপর তিনি জোর দেন। এ ক্ষেত্রে ‘ইদানীং’য়ের প্রচেষ্টাকেও সাধুবাদ জানান তিনি। এর প্রাণপুরুষ জয়ন্ত রসিক অঙ্কন, সংগীত, সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে যেভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন, তার প্রশংসা করেন ইমরান। তাঁকে কেন্দ্র করে জীবনানন্দ সভাঘরে বহু মননশীল মানুষ সমবেত হয়েছেন, সেকথার উল্লেখ করেও রসিককে ধন্যবাদ জানান প্রাক্তন সাংসদ। নাট্যজগতে গিরীশ চন্দ্র ঘোষ, শিশিরকুমার ভাদুড়ীর অবদানের কথাও স্মরণ করেন তিনি।
এদিনের অনুষ্ঠানে জয়ন্ত রসিকের সম্পাদনায় ‘একুশ শতকের গল্প, কবিতা’ (দ্বাদশ সংকলন), ‘ইদানীং’ পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এছাড়াও প্রকাশিত হয়।