পুবের কলম প্রতিবেদক: বগটুই কাণ্ড নিয়ে ফের উত্তপ্ত বিধানসভা। শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে আলোচনা চেয়েছিল বিরোধীরা। শুধু তাই নয় এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতিও দাবি করেন তারা। কিন্তু অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় সেই দাবি না মানায় শেষ পর্যন্ত বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করল বিরোধীরা। এমনিতেই বিধানসভার অধিবেশন শুরু থেকেই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা বিরোধী বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্য সরকারকে। কখনো জোড়া কাউন্সিলর খুন, কখনো আনিস কাণ্ড এমনিতেই অস্বস্তিতে ছিল সব শিবির। সেখানে রামপুরহাট কাণ্ড তাদের হাতে নতুন অস্ত্র তুলে দেয়। শুরু থেকেই এই নিয়ে সরকার পক্ষকে চাপে রাখতে শুরু করেন রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। এর আগেও রামপুরহাট কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতিতে দাবি করে সরব হয় গেরুয়া শিবির।
ইতিমধ্যেই রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রীর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এই নিয়ে বিধানসভায় বিবৃতিও দেন। কিন্তু তাতে খুশি নয় বিরোধী শিবির। গালি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি তুলেছিলেন, যেহেতু গত ১০ দিনে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। কার্যত বারুদের স্তূপে উপরে বসে রয়েছে রাজ্য। এই অবস্থায় সরকার কিভাবে তার দায়িত্ব এড়াতে পারে আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রীর যে বিধানসভায় এসে এই নিয়ে বিবৃতি দিন।
মূলত বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন বিধানসভায় বিরোধীরা বগটুইকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবৃতি দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত তা সফল না হওয়ায় প্রথমে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধীরা। পরে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তারা।
এদিন এ প্রসঙ্গে বিজিপি পরিষদীয় দলের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, বগটুই কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভায় এসে বিবৃতি দিতে হবে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলাদা করে আলোচনা করতে হবে, যতক্ষণ পর্যন্ত এই দাবি না মানা হবে ততক্ষণ আমাদের বিক্ষোভ চলবে। তিনি এও বলেন, রাজ্যের শাসকদলের জনপ্রতিনিধিরা একের পর এক খুন হচ্ছেন আক্রান্ত হচ্ছেন। যদি তাদের নিরাপত্তা না থাকে তাহলে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কোথায়। আর সে কারণেই আমরা রাজ্যে ৩৬৫ ধারা জারির দাবি জানাচ্ছি।