পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: বগটুই কাণ্ডে মৃত্যু হল আরও একজনের। রবিবার সকালে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় মৃত্যু হল আতাহারা বিবি। এই নিয়ে বগটুই কাণ্ডে মোট মৃতের সংখ্যা ১০। আতাহার বিবির শরীরের ২৭ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। মাঝে হাসপাতাল থেকে ছাড়াও পেয়েছিলেন। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। রবিবার ভোরে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় আতাহারা বিবির।
গত মার্চ মাসেই মৃত্যু হয় সেখলাল শেখের স্ত্রী নাজেমা বিবির। ৬০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়ে রামপুরহাটে ভর্তি ছিলেন তিনি।
ঘটনার সূত্রপাত ২১ মার্চ। ওইদিন প্রথমে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গ্রামে। ওই ঘটনার জেরে বগটুই গ্রামে ১০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
ভাদু শেখ এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। আর জনপ্রিয় নেতার খুনের পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁর অনুগামীরা। খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে রাতেই বগটুই গ্রামের বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ওই আগুনে পুড়ে যায় বেশ কয়েকটি বাড়ি। অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান ৮ জন।
বগটুই গ্রামে এসে স্বজন হারানোদের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, ভয়াবহ ঘটনা। ঘটনা শোনার পর আমি ববিকে ফোন করে বলি, তুই ইমিডিয়েটলি যা। আমি ভাবতে পারিনি, এমন ঘটনা ঘটতে পারে। ক্রমশ যুগ আধুনিক হচ্ছে আর কিছু মানুষ এখানে এই কাজ করছে। আমি ভাবতে পারিনি, এমন ঘটনা ঘটতে পারে এই যুগে। শুধু কয়েকটি লোকের জন্য এই অশান্তি।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন ক্ষতিপূরণের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলেন, জীবনের বিকল্প চাকরি হতে পারে না। তবে জীবনে বেঁচে থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজন। মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে ১০ জনের স্থায়ী চাকরির ঘোষণা করেন তিনি। সব কিছু নিয়ম মেনেই হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রথম বছর ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। যাদের বাড়ি পুড়ে গিয়েছে তাদের জন্য ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণে ঘোষণা। নিহতের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ। হাসপাতালে গুরুতর আহত অবস্থায় যিনি ভর্তি আছে তাকে ১ লক্ষ টাকা ও স্বল্প আহতদের ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা।